সৌম্যর বাদ পড়া, নাঈমের ফেরা নিয়ে যা বললেন প্রধান নির্বাচক

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রাখা হয়নি তাকে। তার বদলে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলা নাঈম শেখকে ফেরানো হয়েছে। সৌম্যর বাদ পড়া ও নাঈমের ফেরা নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
  
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচ খেলে ৬১৮ রান করা নাঈমকে নেওয়ার বিষয়ে লিপুর ব্যাখ্যারটা ঠিক এরকম, ‘দল নির্বাচনের আগে আমরা নির্বাচকরা একটা বেস্ট পসিবল কম্বিনেশন এর কথা ভাবি। ওপেনারের জায়গা তো একটা স্পেশালিস্ট জায়গা। তখন একজন বিকল্প ওপেনারের কথা চিন্তা করতে হয়। দলে সাধারণত তিনজন ওপেনার থাকে। সেই আলোকে আমাদের চিন্তা করতে হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের তৃতীয় ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে ভালো এবং অ্যাভেইলেবল আছে নাঈম শেখ। তাই সে দলে এসেছে।’

এদিকে, সৌম্য সরকারের না থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘সৌম্য সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। ১০ বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ক্রিকেটের যে দাবি, তার সঙ্গে তিনি খাপ খাইয়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন। বড় ক্যানভাসে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা অফার করবো এবং তিনি আমাদের মনে আছেন। তাকে আরও এক স্টেপ এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে যোগ্যতার আলোকে।’

এছাড়া শেষ সিরিজে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজু রহমান। তাদের ফেরানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে। তাদের নিয়ে লিপু বলেছেন,  ‘আপনারা দেখছেন যে তারা অনুশীলনে ফেরত এসেছেন এবং দল নির্বাচনের আগে আমরা একটা ফিডব্যাক নিয়ে থাকি ফিজিও প্লাস স্ট্রেন্থ এন্ড ট্রেইনারের কাছ থেকে। এবং একটা লোড ম্যানেজমেন্টের হিসাবও আছে। সেই হিসাব করেই আমরা যখন মনে করি যে কেউ খেলতে পারবে, তখন সে ব্যাপারটা নিয়ে আরো বিশদ আলোচনা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট, ক্যাপ্টেন সবার সঙ্গে এবং সে আলোকে আমরা মনে করছি যে তিনি একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, এই দুটোতেই অ্যাভেলেবল থাকবেন। হয়তো রেস্ট্রিকশন থাকতে পারে, সব ম্যাচের জন্য হয়তো না।’

মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে থেকে বিদায় নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছিল মুশফিকের জায়গায় ফিরবেন নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত লিটনের ওপরই আস্থা রেখেছেন নির্বাচক প্যানেল। সোহানের বাদ পড়া নিয়ে লিপু বলেছেন, ‘সোহানের ব্যাপারটা, তিনি আমাদের বিবেচনায় আছেন। কিন্ত একই টিমে আমরা মাল্টিপল উইকেটকিপার তো নিতে পারবো না এই পজিশনে। কারণ লাস্ট সিরিজে লিটন দাস ছিলেন না, আপনারা জানেন যে ওই সময় একটু খারাপ প্যাচের মধ্যে উনি ছিলেন। একটা সময় হি ইজ আ বেস্ট হিলার। সেই কারণে এবং তিনি টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন হয়েছেন। তাই পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি দলে আছেন ধরে নেওয়া যায়। সো দ্যাট কাউকে ভালো ফর্মের পিছে অধিক সময় ব্যয় করার জন্য আমরা নির্বাচকরা মনে করি যে ওয়ানডে ক্রিকেট খুব আদর্শ একটা সময়। তিনি যদি সেই জায়গাটা দীর্ঘসময় খেলতে পারেন, সেই পারফরম্যান্সটা টি-টোয়েন্টিতেও তার জন্য সুবিধা হবে ক্যারি আউট করার জন্য। সেই আলোকে এই মুহূর্তে আমাদের সামনে আছেন লিটন।’

বাদ পড়লেও সোহান নির্বাচকদের রাডারে আছেন বলে জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘নুরুল হাসান সোহান আমাদের মাথায় অবশ্যই আছেন। তিনি অত্যন্ত কার্যকর একজন খেলোয়াড়; স্পেশালি ছয় সাতে আমার মনে হয়। তো তাকেও আমরা আগামীতে দেখতে পাবো বলে আশা করি। আমাদের কোনও একটা প্লেয়ারকে দেখার জন্য সামনে এশিয়া কাপের আগে এই শ্রীলঙ্কা সিরিজ, তার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা দেশের মাটিতে ম্যাচ খেলবো, তারপরে ভারতের সঙ্গে খেলবো- আমরা চেষ্টা করবো এর মধ্যে যাকে যাকে দেখার সে জিনিসটা দেখে নেওয়ার জন্য।’