প্রয়াত হয়েছেন ভারতের সাবেক বামহাতি স্পিনার দিলীপ দোশি। সোমবার লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি এক পুত্র, কন্যা ও স্ত্রী রেখে গেছেন। সাবেক স্পিনারের মৃত্যুতে ভারতের ক্রিকেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৩২ বছর বয়সে তুলনামূলকভাবে দেরিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া দিলীপ দোশি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৩৩টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্টে তার শিকার ১১৪টি উইকেট। যার মধ্যে পাঁচ উইকেট নিয়েছে ৬বার। ওয়ানডেতে তার ঝুলিতে রয়েছে ২২টি উইকেট।
দিলীপ দোশির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ার ছিল ভীষণ গৌরবময়, যা ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে শুরু হয়ে বিস্তৃত ছিল ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। ২৩৮টি ম্যাচে তিনি ৮৯৮টি উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৪৩বার পাঁচ উইকেট ও ৬বার দশ উইকেটের নজির। তিনি খেলেছেন বেঙ্গল ও সৌরাষ্ট্রের হয়ে।
অনেকেই হয়তো জানে না, ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আধিপত্য ছিল দোশির। তার প্রতিভা সত্ত্বেও তখন বিষান সিং বেদির উপস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ পাননি।
দোশি ছিলেন একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি গিলেট কাপ ম্যাচ অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। সেটিও ছিল তার মাত্র তৃতীয় লিস্ট-এ ম্যাচ এবং ইংল্যান্ডে প্রথম।
তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শোক প্রকাশ করেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকর। তিনি স্মরণ করেছেন ১৯৯০ সালে যুক্তরাজ্য সফরে দিলীপ দোশির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা, ‘আমি দিলীপ ভাইয়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ১৯৯০ সালে যুক্তরাজ্যে দেখা করি, তিনি তখন নেটে আমাকে বল করছিলেন। তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন, আমিও তার প্রতি একই রকম অনুভূতি পোষণ করতাম। দিলীপ ভাইয়ের মতো একজন উষ্ণ হৃদয়ের মানুষকে আমরা খুব মিস করবো। ক্রিকেট নিয়ে আমাদের যে দারুণ সব আলোচনা হতো, তা সত্যিই মনে পড়বে। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’
দোশির সঙ্গে একই দলে খেলেছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ও প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। দোষিকে স্মরণ করে শাস্ত্রী লিখেছেন, ‘সবসময় পরিপাটি, ভদ্রতার প্রতীক এবং অসাধারণ একজন বোলার। পরিবারের প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা। তার আত্মার শান্তি কামনা করি। দিলীপ দোশির প্রয়াণের খবরে সত্যিই শোকার্ত।’