শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৭৮ ওভারে ২৯০/২ (নিসাঙ্কা ১৪৬*, প্রবাথ ৫*; উদারা ৪০, চান্ডিমাল ৯৩)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৯.৩ ওভারে ২৪৭/১০ (রানা ০*: বিজয় ০, মুমিনুল ২১, শান্ত ৮, সাদমান ৪৬, লিটন ৩৪, মুশফিক ৩৫, মিরাজ ৩১, নাঈম ২৫, এবাদত ৮, তাইজুল ৩৩)
সকালের শুরুতেই বাংলাদেশ দ্রুত দুই উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসে তারা ২৪৭ রানে অলআউট হয়। শ্রীলঙ্কার বোলাররা ভালো পারফর্ম করলেও বাংলাদেশের বোলারদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। লাহিরু উদারার সঙ্গে পাথুম নিসাঙ্কা ৮৮ রানের জুটি গড়েন। তারপর সারা দিন দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে ২২ গজ শাসন করেছেন লঙ্কান ওপেনার। শেষ বিকালে দুজনের ১৯৪ রানের জুটি ভেঙে যায় নাঈম হাসানের বলে। ৯৩ রান করে আউট হন চান্ডিমাল।
শেষের আগের ওভারে নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর জন্য রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯০ রান। নিসাঙ্কা ১৪৬ ও প্রবাথ ৫ রানে অপরাজিত আছেন। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ৪৩ রানে।
চান্ডিমালকে ৭ রানের আক্ষেপে পোড়ালেন নাঈম
দিনটা শেষ করে আসতে পারলেন না দিনেশ চান্ডিমাল। সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল তার সামনে। কিন্তু নাঈম হাসানের অষ্টম ওভারে রিভার্স সুইপ করে আত্মাহুতি দিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। বল তার ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসে জমা পড়ে। পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৯৪ রানের। ৭৫.১ ওভারে দলীয় ২৮২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।
চান্ডিমাল ১৫৩ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৯৩ রানে আউট হন।
শ্রীলঙ্কার পেছনে পড়লো বাংলাদেশ
৭৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২৪৭ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছিল। পাথুম নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ৬৯ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নিলো শ্রীলঙ্কা। ৬৯তম ওভারের শেষ বলে দিনেশ চান্ডিমালের সিঙ্গেলে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে স্বাগতিক দল।
৮৮ রানের জুটি ভাঙার পর দুজনে এক হোন ২২ গজে।
সেঞ্চুরি তুলে নিলেন নিসাঙ্কা
শুরু থেকে লঙ্কানদের দিশা দেখাচ্ছেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৮৮ রানের ওপেনিং জুটির পর তার ব্যাটে ভর করেই দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে খেলছে শ্রীলঙ্কা। চায়ের বিরতিরর পর তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তিনি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৬৭ বলে। কলম্বোর আগে গল টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।
নিসাঙ্কা-চান্ডিমালের প্রতিরোধে দ্বিতীয় সেশন শ্রীলঙ্কার
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের জবাবে ভালো ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে তাইজুল ইসলাম ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেও তার পর দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল গড়েছেন সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের ব্যাটে ভর করেই ১ উইকেটে ১৯০ রানে রানে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন আছেন ১০২ রানে। নিসাঙ্কা সেঞ্চুরির পেতে ৭ রান দূরে রয়েছেন। ব্যাট করছেন ৯৩ রানে। ফিফটি তুলে চান্ডিমাল ব্যাট করছেন ৫৪ রানে। তারা এখনও পিছিয়ে ৫৭ রানে।
এই সেশনে ২৯ ওভার খেলা হয়েছে। এক উইকেটের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কা যোগ করেছে ১০৭ রান।
শতরান ছাড়ালো নিসাঙ্কা-চান্ডিমাল জুটি
৮৮ রানের ওপেনিং জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটেও প্রতিরোধ গড়ে খেলছে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকে দিশা দেখাচ্ছেন পাথুম নিসাঙ্কা। ফিফটি তুলে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া দিনেশ চান্ডিমালও ফিফটি তুলে নিয়েছেন। চান্ডিমাল ৩৪তম ফিফটির দেখা পেয়েছেন ৭০ বলে। শতরান ছাড়িয়েছে দু’জনের জুটি।
নিসাঙ্কা-চান্ডিমাল জুটির পঞ্চাশ
লাঞ্চ বিরতির পর শুরুর জুটি ভেঙেছিলেন তাইজুল। তার পর থেকে প্রতিরোধ গড়ে খেলছেন পাথুম নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল। ৩৬.৩ ওভারে চান্ডিমালকে এলবিডাব্লিউ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। লঙ্কান ব্যাটার রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। রিভিউতে দেখা গেছে তাইজুলের বল পিচ করার পর লেগ স্টাম্প মিস করছে। ততক্ষণে অবশ্য পঞ্চাশ রান পার হয়ে গেছে এই জুটির।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
৩০.৩ ওভারে নাঈম হাসানের বলে এলবিডাব্লিউর আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিলে দেখা গেছে বল ব্যাট স্পর্শ করে প্যাডে আঘাত করেছে। তাতে নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশের একটি রিভিউ।
নিসাঙ্কার ফিফটি, একশ ছাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
শুরু থেকে লঙ্কানদের দিশা দেখাচ্ছেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। উদারা ফিরলেও ৭৯ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তাদের ব্যাটেই দ্রুত একশ ছাড়ায় শ্রীলঙ্কা।
প্রথম সেশনে কোনও উইকেটই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তাদের ওপর চড়াও হচ্ছিল লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরে তৃতীয় ওভারে অবশেষে সাফল্য পান তাইজুল ইসলাম। ২৩.৩ ওভারে উদারাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। বাংলাদেশ জোরালো আবেদন করলেও শুরুতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে। উদারা আউট হন ৪০ রানে।
লাঞ্চের আগে লঙ্কানদের উইকেটই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে থামিয়ে ভালো জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতেই তারা সফরকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে। বাংলাদেশের বোলাররা চেষ্টা করলেও লাঞ্চের আগে কোনও উইকেট ফেলতে পারেনি। লঙ্কান দল বিনা উইকেটে ৮৩ রানে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করেছে। ব্যাট করছেন নিসাঙ্কা ৪২* ও উদারা ৪০*। তারা এখনও পিছিয়ে ১৬৪ রানে।
শুরুর জুটিতেই পঞ্চাশ শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার মিলে দারুণ জবাব দিচ্ছেন। শুরুর জুটিতেই যোগ করেছে পঞ্চাশ রান। অবশ্য অষ্টম ওভারে এই জুটি প্রায় ভেঙে ফেলেছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। উদারার বিপক্ষে বাংলাদেশ জোরালো আবেদন করেছিল। আম্পায়ার সাড়া দেননি। তার পর বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা গেছে আম্পায়ার্স কলে এলবিডাব্লিউ হওয়া থেকে বেঁচেছেন উদারা। তখন তিনি ২১ রানে ব্যাট করছিলেন।
২৪৭ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
প্রথম দিনেই ৮ উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লেজের দিকে গতকাল থেকে প্রান্ত আগলে ছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় দিন দলের আশার আলো হয়ে ব্যাট করতে নামেন তিনি। সেই লক্ষ্যে ভালো চেষ্টাও করতে থাকেন। অন্যপ্রান্ত নড়বড়ে হয়ে পড়লেও ২২০ রান থেকে স্কোরটা প্রায় আড়াইশর কাছে নিয়ে গেছেন। তার প্রতিরোধেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন সকালে ৪৫ মিনিটের মতো প্রতিরোধ গড়তে পেরেছে। শেষ উইকেট হিসেবে দিনুশার বলে মেরে খেলতে গিয়ে ৩৩ রানে কাটা পড়েছেন তিনি। তাতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৪৭ রানে। তাইজুলের ৬০ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
অবশ্য ২৪৭ রান কম মনে হলেও উইকেটের অবস্থায় সেটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। যা সম্ভব হয়েছে তাইজুলের কারণে। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ ৩ উইকেটে ৫০ রান যোগ করতে পেরেছে সফরকারীরা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সোনাল দিনুশা ও আসিথা ফার্নান্ডো। দুটি নিয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো। একটি করে নিয়েছেন থারিন্দু রত্নায়েকে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
দিনের শুরুতে এবাদতের বিদায়ে পড়লো নবম উইকেট
ইনিংস সমৃদ্ধ করার আশাতে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম প্রান্ত আগলে থাকলেও অন্যপ্রান্ত নড়বড়ে। চতুর্থ ওভারেই ফিরেছেন পেসার এবাদত হোসেন। তাকে এলবিডাব্লিউ করেছেন আসিথা ফার্নান্ডো। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি এবাদত।
ইনিংস সমৃদ্ধ করার আশায় দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের
কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে যে আশা নিয়ে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল তাতে মোটেও সফল হয়নি শান্তর দল। প্রথম দিনটি শেষ করেছে হতাশায়। শুরুর দিনেই সফরকারীরা ব্যাক ফুটে পড়ে গেছে। ৮ উইকেটে ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ করার পর দ্বিতীয় দিন শুরু করেছে স্কোরবোর্ড আরও সমৃদ্ধ করার আশায়। প্রথম দিনেই সাদমান জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্যের কথা। প্রথম ইনিংসে তারা ২৭০-২৮০ রান সংগ্রহ করতে চান। কিন্তু মাঠে এখন রয়েছেন তাইজুল ও এবাদত। তারা কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন সেটাই দেখার।
প্রথম দিন ভালো ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার সাদমান ইসলাম (৪৬)। একই অবস্থা হয়েছে লিটন দাস (৩৪), মুশফিকুর রহিম (৩৫) ও মেহেদী হাসানেরও (৩১)। তাতে প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনে ২০৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট পড়ে সফরকারীদের। বৃষ্টির কারণে পুরো ৯০ ওভারের জায়গায় হয়েছে ৭১ ওভার। তাই ম্যাচ শুরু হয়েছে একটু আগে।
প্রথম দিনে লঙ্কানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা ফার্নান্ডো, বিশ্ব ফার্নান্ডো ও সোনাল দিনুশা। একটি করে নিয়েছেন থারিন্দু রত্নায়েকে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।