৯ হাজারের বেশি রান, ২৪টি সেঞ্চুরি, ৪৯টি হাফসেঞ্চুরি- এই পরিসংখ্যান অনেককেই জাতীয় দলে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এনামুল হক বিজয়ের বেলায় বিষয়টা যেন উল্টো। ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও থিতু হতে পারেন না কখনোই। এবার প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৭০০ রানও করে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সুযোগটা এসে যায় এবার লঙ্কান সিরিজে, দুই ওপেনার জাকির হাসান–মাহমুদুল হাসানের টানা ব্যর্থতায়। কিন্তু সুযোগটা বিন্দুমাত্র কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ০ ও ৪ রান করে আউট হন। কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ০ ও ১৯ রান করেন বিজয়। ফলে টেস্ট দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কলম্বো টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর বিজয়ের ব্যাটিং নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। তিনি জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের সফলতার কারণেই তারা বিজয়কে দলে নিয়েছিলেন। তাদের হাতে অন্য কোনও বিকল্পও ছিল না বলে স্বীকার করে নেন শান্ত, ‘বিজয় ভাইয়ের বিষয়টা আপনি যদি বলেন, ৯ হাজার ফার্স্ট ক্লাস রান, ২৪টি সেঞ্চুরি, ৪৯টি ফিফটি। এরকম একটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে আমরা কেন দলে নিবো না? তো ওই চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছিল। আমরা ওপেনাররা অলওয়েজ স্ট্রাগল করছিল শেষ কয়েক বছর ধরে। জয়, জাকির কিছু কিছু ম্যাচে ভালো করেছে। কিন্তু তারপরে দেখা গেছে যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। তাই আমরা এরকম একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুঁজছিলাম, যার পেছনে অনেক রান আছে। যে কিনা অভিজ্ঞ একটু এই ফরম্যাটে।'
এই ম্যাচে হারের পেছনে এককভাবে বিজয়কে দায়ী করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন শান্ত। দল হিসেবে বাংলাদেশ কলম্বোতে ভালো করতে পারেনি বলে দায় স্বীকার করেছেন সদ্য অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া ব্যাটার, ‘দুর্ভাগ্যবশত সে ভালো করতে পারেনি, সুযোগ ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, এখন রেজাল্ট সে দিতে পারেনি দলের জন্য। এটা অবশ্যই হতাশার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শুধু তার ওপর দোষ দেওয়াটা বোকামি হবে, দল হিসেবে আমরা এ ম্যাচটা ভালো খেলিনি।’
বিজয়ের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ফের সুযোগ পেলে সেটাকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো। পরিসংখ্যান নয়, প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মঞ্চে রান। শান্ত বিশ্বাস করেন ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে বিজয় ভালো করবেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি, তার যদি সামনে সুযোগ আসে, অবশ্যই সে ভালো কিছু করবে।'