মেসি ছাড়া পুরো শক্তির দলই পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ এদগার্দো বাউসা। ফরোয়ার্ডে আনহেল দি মারিয়া, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন-ছিলেন সবাই। এর পরও প্রতিপক্ষের জালে একবারের জন্যও বল জড়াতে পারেনি লাতিন জায়ান্টরা। ১৮ মিনিটে দেরলিস গনসালেসের গোলটাই তাই জয় নিশ্চিত করে সফরকারী প্যারাগুয়ের। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ এক গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে গোল শোধের জন্য এতটা সময় পাওয়ার পরও কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু গোল মুখের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন আগুয়েরো-হিগুয়েইনরা।
বিশেষকরে আগুয়েরো, ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড একেবারেই ব্যর্থ। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা, সেই সংশয় জন্ম নিলেও নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি প্রস্তুত। মাঠে ছিলেনও শুরু থেকে, কিন্তু করতে পারলেন না কিছুই। উল্টো সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েও করেছেন নষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা, স্পট কিক নিতে আসা আগুয়েরো দুর্বল শট ঠেকাতে কোনও সমস্যাই হয়নি প্যারাগুয়ে গোলরক্ষকের। দ্বিতীয়ার্ধে তো প্যারাগুয়ের ১১ জন খেলোয়াড় পাহারা দিয়েছে তাদের রক্ষণ! সেই বাধার দেয়াল ভাঙতে না পারায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় হার দেখতে হলো মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার।
এই রাউন্ডের আগের ম্যাচ ড্র করে ফিরেছিল তারা পেরুর মাঠ থেকে। দুইবার এগিয়ে গিয়েও পয়েন্ট ভাগাভাগি করার হতাশা ঝেড়ে নতুন মিশনের কথা শুনিয়েছিলেন বাউসা, যে মিশনটা আরও বড় হতাশা দিয়ে গেল তাদের। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানটা ধরে রাখলেও রাশিয়া বিশ্বকাপের মূল পর্বে সরাসরি খেলার পথে বড় ধাক্কাই খেল আলবিসেলেস্তেরা।
/কেআর/