সানডে জাদুতে আবাহনী হারালো রহমতগঞ্জকে

Abahani(Sky) Vs Rahmatganj(Yellow) 2জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরের চমক জাগানো দল রহমতগঞ্জ প্রথম হারের তিক্ততা পেল আবাহনীর বিপক্ষে হেরে। আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলার জয়ের নায়ক আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিাজোবা,  তার করা দুটি গোলেই ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয় আবাহনী। 

এ খেলার আগ পর্যন্ত দুই  দলই ছিল অপরাজিত। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠা আবহনীই ১২ দলের মাঝে একমাত্র অপরাজিত দল।

প্রথমার্ধে দাপট ছিল আবাহনীর, একের পর এক আক্রমণ করেছে আকাশি নীল জার্সিধারিীরা, তবে পায়নি কোনও গোলের দেখা। অবশ্য খেলার ধারার বিপরীতে ১৬ মিনিটে প্রথমে গোলের সুযোগ পেয়েছিল রহমতগ্ঞ্জ, বক্সের উপর থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে ফ্রি-কিক পেয়েছিল তারা, গাম্বিয়ান মিডিফিল্ডার জাত্তা মোস্তাফা ভালো ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন, কিন্তু আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল শেষ মুহূর্তে ক্লিয়ার করেন।

এর পরই শুরু হয় আবাহনীর আক্রমণ। নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবা, ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক, জুয়েল রানা ও হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস চড়াও হন প্রতিপক্ষ শিবিরে। তবে রক্ষণভাগ নয়, তাদের  সামনে দেয়াল হিসেবে আবির্ভূত হন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম।  ৩২ মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের ক্রসে তিনি পাঞ্চ করেন সানডের হেড, কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা পায় তার দল। ৩৮ মিনিটে  ইমন বাবুর ক্রসে হেমন্তর ফ্লিক মাসুম বাঁচান ফিস্ট করে। আর ৪৪ মিনিটে সেরা সেভটি করেন সানডে চিজোবাকে ’ওয়ান-টু-ওয়ান’ পজিশনে রুখে দিয়ে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ঢুকে মাসুমকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি সানডে, এগিয়ে এসে গ্যাপ কমিয়ে শট থামিয়ে দেন ।

তবে বিরতির তিন মিনিট পর রহমতগঞ্জের রক্ষণদূর্গে ফাটল ধরান সানডে চিজোবা। পাল্টা অক্রমণে মাঝমাঠ থেকে সানডেকে থ্রু পাস দেন জুয়েল রানা, সানডে বুক দিয়ে বল নামিযে তার মার্কারকে কাটিয়ে আগুয়ান মাসুমকেও টপকে যান। ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে তিনি ভুল করেননি।

পরের মিনিটেই প্রায় সমতা এনে ফেলেছিল রহমতগঞ্জ। কঙ্গোলিজ ফরোয়ার্ড সিয়ো জুনাপিয়ো গতিতে পরাস্ত করেন আবাহনী ডিফেন্সকে, দেন কোনাকুনি ক্রস। ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে পারেননি মিডিফিল্ডার মেহবুব হাসান নয়ন।

জুয়েল রানা ও হেমন্ত গোলমুখে তাদের ব্যর্থতা অব্যহত রাখেন। ৬৫ মিনিটে প্রথমে জুয়েল মাসুমকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি, পরে হেমন্ত মারেন ডিফেন্ডারের গায়ে।

রহমতগঞ্জ কোচ কামাল বাবুর কৌশল হলো শেষ দিকে আক্রমণভাগে দুইজন নতুন খেলোয়াড় নামিয়ে চাপ সৃষ্টি করা। দিদারুল আলম ও নুরুল আবসারকে নামিয়ে আবাহনীকে বেগ দেয়াও শুরু করে তারা। আবহনীও হয়ে পড়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক। তবে অতিরিক্ত সময়ের মাঝামাঝি সময়ে রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক মাসুমকে এগিযে থাকতে দেখে মাঝমাঠের অর্ধবৃত্ত বা ৬০ গজ দূর থেকে রংধনু শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সানডে।

খেলার শেষ মিনিটে মারামারির কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন শহিদুল আলম সোহেল ও রহমতগঞ্জ অধিনাযক শওকত রাসেল।

১১ খেলায় আবাহনীর পয়েন্ট ২৩,  রহমতগঞ্জের ২২।

/আরএম/কেআর/