শাস্তি কমছে না ব্ল্যাটারের

blatter_b_gettyপ্লাতিনি ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে তার শাস্তি আরও দুই বছর কমে চার বছর হয়। ব্ল্যাটারও আশায় ছিলেন শাস্তি কমার। যদিও হয়নি তা। সিএএস তার বিরুদ্ধে ছয় বছরের শাস্তি বহাল রেখেছে।

ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্তে (সিএএস) আপিল করে শাস্তির মেয়াদ কমেছে মিশেল প্লাতিনির। ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (উয়েফা) সাবেক প্রধানের শাস্তি কমার রায় আশা জাগিয়েছিল সেপ ব্ল্যাটারের মনে। তিনিও যে আপিল করেছিলেন ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও রায় পক্ষে এলো না ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার সাবেক সভাপতির। সিএএস তার ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি রেখেছে বহাল।

ফিফার নীতি লঙ্ঘন করায় সভাপতির পদের সঙ্গে ফুটবল বিষয়ক সব ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ হন ব্ল্যাটার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে’ ২ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছিলেন উয়েফার সাবেক সভাপতি প্লাতিনিকে। দুজনই অবশ্য বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন এই অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগে শুরুতে ফিফার এথিকস কমিটি তাদেরকে আট বছর নিষিদ্ধ করে ফুটবল থেকে। পরে অবশ্য আপিল করলে শাস্তি দুই বছর কমে নেমে আছে ছয় বছরে।

এর পর প্লাতিনি ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে তার শাস্তি আরও দুই বছর কমে চার বছর হয়। ব্ল্যাটারও আশায় ছিলেন শাস্তি কমার। যদিও হয়নি তা। সিএএস তার বিরুদ্ধে ছয় বছরের শাস্তি বহাল  রেখে তাদের রায়ে জানিয়েছে, ‘লেনদেন করা টাকার পুরোটাই অযৌক্তিক।’ ১৭ বছর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করা ব্ল্যাটার এই রায়ের পর বলেছেন, ‘রায়টা অন্যরকম কিছু হওয়ারই প্রত্যাশা করেছিলাম। যাইহোক সিদ্ধান্তটা আমি মেনে নিয়েছি।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘ফিফাতে কাজ করা ৪১ বছরে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। সবচেয়ে ভালো যে বিষয়টি শিখেছি, সেটা হলো খেলাধুলায় জয়ের সঙ্গে হারটাও থাকে।’ বিবিসি

/কেআর/