মেসি মন্ত্রে মাদ্রিদ জয়

imagesঅ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির চতুরতায় সেই শঙ্কা কাটিয়ে জিতেছে কাতালান জায়ান্টরা।
খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে বার্সেলোনাকে বাঁচান মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে লা লিগা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠেছে লুই এনরিকের শিষ্যরা। যদিও তারা রিয়ালের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে রিয়াল। আর বার্সার ২৪ ম্যাচে অর্জন ৫৪ পয়েন্ট। অবশ্য জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা রাত পৌনে দুইটায় ভিয়ারিয়ালের মাঠে নামবে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে।
রবিবার ভিসেন্তে ক্যালদেরনে প্রথমার্ধে চোখে পড়ার মতো পারফর্ম করতে পারেনি বার্সেলোনা। কিন্তু সব মিলিয়ে তারাই জয়ের দাবিদার। চাপ নিয়েই তারা অ্যাতলেতিকোর মাঠে নেমেছিল। প্রথমার্ধে তারা খানিকটা পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকদের চেয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরেছিল বার্সেলোনা। সবশেষে দুই দলের মধ্যে তুলনামূলক ভালো ছিল তারাই। সময় যত গড়িয়েছে অ্যাতলেতিকো একটু ভুগেছে। গোলমুখে নেইমার, সুয়ারেস ও মেসিকে বেশ জায়গা দিতে বাধ্য হয়েছে তারা। তার প্রমাণ মিলেছে ম্যাচের ফলাফলে।
আর হাড্ডাহাড্ডি এ লড়াইয়ে কোনও দল গোল পায়নি প্রথমার্ধে। যদিও বিরতির পর অ্যাতলেতিকোর আন্তোয়ান গ্রিজমানের একটি সুযোগ নষ্ট হয়। তবে বার্সার আক্রমণভাগকে রুখতে না পারার মাশুল তারা দিয়েছে এক ঘণ্টা পার হতেই।
অ্যাতলেতিকোর বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক এলাকায় বল পেয়ে যান সুয়ারেস। ডানপ্রান্ত থেকে তিনি গোলমুখে শট নিলেও গডিন বাধায় পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। তবে অ্যাতলেতিকো অধিনায়ক বল ধরেও রাখতে পারেননি, চলে যায় রাফিনহার কাছে। ৬৪ মিনিটের ওই শটে ওবলাককে পরাস্ত করে বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন রাফিনহা।
অবশ্য বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বার্সা। ৬ মিনিট পর সের্হিয়ো বুসকেতস বাঁপ্রান্তে অযথাই ফাউল করে বসেন। ফ্রি কিক পায় স্বাগতিকরা। কোকের বাঁকানো ফ্রি কিকে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়ানো গডিন মাথার আলতো ছোঁয়ায় বলের গতিপথ তৈরি করে দেন বার্সার জালে। গোলরক্ষক টার-স্টেগেন লাফিয়েও থামাতে পারেননি বল। ১-১ গোলে সমতায় ফেরে অ্যাতলেতিকো।
জয়ের আভাস পেয়েও পয়েন্ট খোঁয়ানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল বার্সা। কিন্তু মেসির মন্ত্রমুগ্ধ প্রচেষ্টায় উল্টো অ্যাতলেতিকোকে ফিরতে হয় খালি হাতে। ৮৬ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে উমিতি বল বাড়িয়ে দেন সুয়ারেসের দিকে। উরুগুয়ান স্ট্রাইকার কাট করে মেসির কাছে বল পাঠান। আর্জেন্টাইন তারকার প্রথম শটটি সাভিচ ফিরিয়ে দিলেও তার দ্বিতীয় শটটি সহজেই লক্ষ্যভেদ হয়। সূত্র- গোলডটকম, ইএসপিএনএফসি

/এফএইচএম/