প্যারিস সেন্ত জার্মেইর মাঠে ৪-০ গোলে হেরে গিয়েছিল বার্সেলোনা। এর পর ইতিহাসকে জিজ্ঞাসা- প্রথম লেগে এতো বড় ব্যবধানে হারের পর কেউ কি পরের পর্বে উঠতে পেরেছিল? উত্তর ছিল ‘না’। আর তাই চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার ‘নিশ্চিত’ বিদায় দেখে তাদের জন্য কফিন বানিয়ে রেখেছিল সবাই। কিন্তু সেই সবাইকে পাত্তা দেয়নি মেসি-ইনিয়েস্তারা। শিষ্যদের উপর আস্থা রেখেছিলেন বিদায়ী কোচ লুই এনরিকে। আর সেই আস্থা ও বিশ্বাসে ভর করে অসম্ভবকে সম্ভব করল কাতালান জায়ান্টরা।
বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে কঠিন এক মিশনে নেমেছিল বার্সা। যেখানে ৪ গোলে পিছিয়ে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর নজির নেই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে। তবে অতীতকে একপাশে সরিয়ে রেখে ঠিকই ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে বার্সা। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে যেখানে অন্তত চার গোল করার দরকার সেখানে একটি অ্যাওয়ে গোল হজম করল তারা। লক্ষ্য দাঁড়াল ৬ গোলে জয়ের। তাতেও সমস্যা হয়নি। শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করে অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়ল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেল তারা।
মাত্র ৩ মিনিটে লুই সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। বিরতিতে যাওয়া পাঁচ মিনিট আগে আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ও রাফিনহার একটি আক্রমণ বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন পিএসজির কুরজাওয়া। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ব্যবধান ৩-০ করে বার্সা। নেইমার বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ৫০ মিনিটের ওই পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বাঁদিক দিয়ে জালে পাঠান লিওনেল মেসি। এতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ পেনাল্টি গোলে রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভাগ বসান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ১১তম পেনাল্টি গোল করেন তিনি।
শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বেনফিকাকে। পর্তুগিজদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে এসেছিল ডর্টমুন্ড। দুই লেগে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল জার্মান জায়ান্টরা।
/এফএইচএম/