আর্জেন্টাইন ভক্তকে গ্যালারি থেকে ফেলে ‘হত্যা’

মর্মান্তিক সেই দৃশ্যদুই দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে গেছেন আর্জেন্টিনার এক ফুটবল ভক্ত। প্রতিপক্ষের সমর্থক ‘ভেবে’ এমানুয়েল বালবো নামের ওই ভক্তকে গ্যালারির স্ট্যান্ড থেকে ফেলে দেয় কয়েক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হওয়া বালবোর বাবা আবার দাবি করেছেন, কয়েক বছর আগে তার আরেক ছেলেকে যে হত্যা করেছিল, সেই যুবকও ছিল বালবোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার সময়।

লাতিন আমেরিকার ফুটবল শত্রুতা এমন রূপ নেয় মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে, সেটা আসলে চিন্তা-শক্তিতে আনাটাও কঠিন। রেফারিকে গুলিকে করে মেরে ফেলা কিংবা খেলোয়াড়কে শ্বাসরোধ করে হত্যার উদাহরণ তৈরি করেছে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। ব্রাজিলে তো একবার রেফারির ওপর এতটাই খেপে গিয়েছিল সমর্থকরা যে, ম্যাচশেষে রেফারির মাথা কেটে ফুটবল বানিয়ে খেলেছিল মাঠে! ফুটবল নিয়ে উন্মাদ এই সমর্থকরা গ্যালারিতেও জন্ম দেয় অপ্রীতিকর ঘটনার। অ্যাতলেতিকো বেলগ্রানো-তায়েরেসের উত্তেজনাকর দ্বৈরথে যেমন জন্ম নিলো আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনার। ‘প্রতিপক্ষের ভক্ত’কে গ্যালারি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলেই দিল ফুটবল সমর্থকদের একটা গ্রুপ!

ধাক্কা মারার একটা ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা গেছে ঘটনার ভয়াবহতা। বালবো বেলগ্রানোর সমর্থক হলেও এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক যুবক তাকে প্রতিপক্ষ তায়েরেসের সমর্থক বলে চিৎকার করেন। ‘চিরশত্রু’ শিবিরের সমর্থক তাদের ভেতর দাঁড়িয়ে আছে, বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি বেলগ্রানোর সমর্থকরা। এরপরই আরও কয়েকজন জমা হয়ে স্ট্যান্ড থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বালবোকে। ওই দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পাওয়া বালবোকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি।

২২ বছর বয়সী বালবোর মৃত্যুর শোকে পাথর তার বাবা রাউল বালবো। শোকের সঙ্গে আছে ক্ষোভও। তার আরেক ছেলেকে বছর পাঁচেক আগে মেরে ফেলেছিল যে, সেই অস্কার গোমেসকে এই হত্যাকাণ্ডের সময়ও দেখা গেছে। রাউল তাই দাবি তুলেছেন, গোমেসই ‘পরিকল্পনা’ করে হত্যা করেছে বালবোকে।

আর্জেন্টাইন এক সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে আর্জেন্টিনায় ৪০ জন মারা গেছেন ফুটবল সংক্রান্ত সহিংসতায়। মার্কা

/কেআর/