উলফসবুর্গে শেষ দুই মৌসুমে গোলের বৃষ্টি ঝরিয়ে ডোস্ট এখন খেলছেন পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিং লিসবনের জার্সিতে। নতুন ক্লাবে তিনি যেন হয়েছেন আরও ধারালো। পর্তুগিজ লিগে ২৯ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল। ইউরোপের শীর্ষ যে পাঁচ লিগ, তার হিসাবে ২০১৬-১৭ মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল এই ডাচ স্ট্রাইকারের। শীর্ষে থাকা মেসির চেয়ে পিছিয়ে আছেন ৪ গোলে। বাকি থাকা এক ম্যাচে চারবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই মেসিকে ধরে ফেলবেন ডোস্ট, আর ৫ গোল পেলে এককভাবে জিতে নেবেন এবারের মৌসুমের ইউরোপিয়ান ‘গোল্ডেন শু’।
এ তো গেল ডোস্টের হিসাব। এবার আসুন মেসির দিকে। লা লিগায় বার্সেলোনার বাকি আছে আর এক ম্যাচ। এইবারের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সেই ম্যাচে নিঃসন্দেহে খেলবেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগ শিরোপা নিষ্পত্তি হয়নি বলে ওই ম্যাচে যে মেসি প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে খেলবেন, সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই। তাতে আরও দুই-এক গোল নামের পাশে যোগ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া লা পালমাসের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে গোল পাননি বলে এইবারের বিপক্ষে তেকাঠির দিকে আরও মুখিয়ে থাকবেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
৩৩ ম্যাচে ৩৫ গোল করা মেসি এবার পুরস্কারটি জিতলে ধরে ফেলবেন রোনালদোকে। পতুর্গিজ যুবরাজ ‘গোল্ডেন শু’ জিতেছেন চারবার।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পান পুরস্কারটি। তাই মেসির সমান ৩৫ গোল করেও তালিকার অনেক নিচে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের এদিনসন কাভানি। উয়েফা র্যাংকিংয়ে পিএসজি ‘বি’ ক্যাটাগরির হওয়ায় তার ১ গোলের পয়েন্ট ১.৫। যেখানে শীর্ষ পাঁচ লিগ-লা লিগা, সিরি ‘এ’, প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা ও পর্তুগিজ লিগে প্রত্যেক গোলের জন্য পয়েন্ট ২। মেইল
‘গোল্ডেন শু’র দৌড়ে সেরা পাঁচ :
খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল | গোল প্রতি নম্বর | পয়েন্ট |
লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ৩৫ | ২ | ৭০ |
বাস ডোস্ট | স্পোর্তিং লিসবন | ৩১ | ২ | ৬২ |
রবার্ত লেভানদোস্কি | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩০ | ২ | ৬০ |
পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং | বরুশিয়া ডর্টমুন্ড | ২৯ | ২ | ৫৮ |
এডেন জেকো | রোমা | ২৭ | ২ | ৫৪ |
/কেআর/