‘অন্য গ্রহের’ ফুটবলারের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন বন্ধু ও পরিবারের ২৫০ জনেরও বেশি সদস্য। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আর্জেন্টিনার বিমান ধরেছিলেন ফুটবলের কয়েকজনজ বড় তারকা। ৩০ বছরের মেসি ও ২৯ বছর বয়সী রোকুজ্জোর এ ঝলমলে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনও প্রভাব রাখতে পারেনি শাশুড়ী ও হবু বউয়ের বিরোধের গুঞ্জন।
রোসারিওর বিলাসবহুল হোটেলে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছিলেন নবদম্পতি। হোটেল কর্মচারীদেরও সব ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বড় এ দিনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সাড়ে চারশ পুলিশকে।
প্রথম অতিথি হিসেবে লাল গালিচায় পা রেখেছিলেন স্যামুয়েল এতো। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। এর পর একে একে আসেন সের্হিয়ো আগুয়েরা ও তার বান্ধবী কারিনা, সেস ফ্যাব্রিগাস ও বাগদত্তা ড্যানিয়েলা সিমান, রোকুজ্জোর বন্ধু ও মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ এজেকুয়েল লাভেজ্জি, লুই সুয়ারেস ও তার স্ত্রী সোফিয়া বালবি এবং পপ তারকা শাকিরা ও তার স্বামী জেরার্দ পিকেসহ ফুটবলের আরও অনেক গণ্যমান্য তারকারা। মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ নেইমার একাই এসেছিলেন। এর কারণ হিসেবে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুদিন আগে বান্ধবী ব্রুনা মাকুইজাইনকে প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। অতিথি সারিতে সবার সামনে ছিল কিন্তু মেসি-রোকুজ্জোর দুই ছেলে থিয়াগো ও মাতেও।
অতিথিদের পোশাক নিয়ে ছিল মেসি-রোকুজ্জোর আলাদা পরিকল্পনা। সংবাদমাধ্যমের খবর, রঙে-ঢঙে একজনের সঙ্গে আরেকজনের পোশাক যেন মিলে না যায় সেজন্য মেয়ে অতিথিদের তিনটি পোশাক সঙ্গে আনার অনুরোধ করেছিলেন তারা। তিনটি করে ভিন্ন ভিন্ন শার্ট আনতে বলা হয়েছিল ছেলে অতিথিদেরও। তবে আর্জেন্টিনা ও ম্যানসিটির সাবেক ডিফেন্ডার মার্টিন ডেমিচেলিসের স্ত্রী ও মডেল এভানজেলিনা অ্যান্ডারসন পোশাকের ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক ছিলেন। অন্য ‘ওয়াগ’দের সঙ্গে যেন মিল না হয়, সেজন্য তিনি পাঁচটি পোশাক সঙ্গে এনেছিলেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
সে যাই হোক, ‘শতাব্দীর সেরা বিয়ে’ ঝামেলা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। মেসি ও রোকুজ্জো তাদের বিয়ের শপথ করেন অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে। ওই সময় তাদের কয়েক ইঞ্চি সামনে বসে ছিল বড় ছেলে থিয়াগো। তারা স্বামী-স্ত্রী ঘোষিত হওয়ার পর থিয়াগোর মাথায় হাত বুলিয়ে রোকুজ্জোকে চুমু খান মেসি। এর পর মেসি চমকে দেন তার স্ত্রীকে। জনপ্রিয় আর্জেন্টাইন গায়ক আবেল পিন্টোসকে হাজির করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী। প্রিয় গায়কের কণ্ঠে প্রিয় গান ‘সিন প্রিন্সিপিও নি ফিনাল’ (শুরু বা শেষটা ছাড়াই) শুনতে পেরে ততক্ষণে রোকুজ্জোর আনন্দ আকাশ ছুঁয়েছে। নতুন জীবনের হাস্যোজ্জ্বল শুরুটা শেষ পর্যন্ত অটুট থাকবে এটাই কামনা মেসি ভক্তদের। ডেইলি মেইল, গোল, ইন্ডিপেনডেন্ট, বিবিসি
/এফএইচএম/