পেপ গার্দিওলা একবার বলেছিলেন, ‘জাভির মতো খেলোয়াড় সবসময় আসে না’। ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বার্সেলোনার ফুটবল যারা দেখেছেন, তাদের কারও অজানা থাকার কথা নয় স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের দক্ষতার ব্যাপারে। লিওনেল মেসি ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সঙ্গে তার রসায়নটা ছিল দেখার মতো। মেসি ও ইনিয়েস্তার সঙ্গে সংযোগ সেতু হয়ে কাজ করে ফুটিয়েছেন ‘তিকি-তাকা’র ফুল। তার জায়গা পূরণ করা কতটা কঠিন, গত দুই মৌসুমে খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে বার্সেলোনা।
তার ন্যু ক্যাম্পকে বিদায় জানানোর পর জায়গাটা পূরণ করার কম চেষ্টা তো আর করছে না বার্সেলোনা। জাভির থাকার সময়ই দলে আসে ইভান রাকিটিচ। সবশেষ যোগ করা হয়েছে পাউলিনিয়োকে। সবমিলিয়ে ১১২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে বার্সেলোনা জাভির জায়গা পূরণের জন্য। মার্কো ভেরাত্তি ও জিয়ান মিশেল সেরির নাম বারবার শোনা গেলেও তারা এনেছে অন্য কাউকে। প্রথমে আসেন আরদা তুরান, ৩৪ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে টারকিশ মিডফিল্ডারকে আনে তারা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে। পরের মৌসুমে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে আনা হয় আন্দ্রে গোমেসকে। কিন্তু রাকিটিচের মতো এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডারও বক্স টু বক্স খেলোয়াড়, যেটা মোটেও জাভির মতো নয়।
একজন আছেন অবশ্য জাভির পজিশনে খেলার মতো। তিনি হলেন দেনিস সুয়ারেস। যদিও স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার নিয়মিত জায়গাই পান না একাদশে। এবার এসেছেন পাউলিনিয়ো, ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে তিনি জাভির জায়গা পূরণ করতে পারেন কিনা, সেটাই এখন দেখার। মার্কা
/কেআর/