৫ মিনিটের ঝড়ে ম্যানইউর দুর্দান্ত জয়

পোগবার গোলে আরও একবার আনন্দ করল ম্যানইউওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে গত রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওই দলকেই মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে নামালেন হোসে মরিনহো। কাকতালীয় ব্যাপার, সোয়ানসি সিটির মাঠেও স্কোর থাকল এক। ক্লাবের ইতিহাসে ১১০ বছর পর লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই চার বা তার বেশি গোল করার নজির গড়ল ম্যানইউ।

শনিবার লিবার্টি স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলে জিতেছে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ১৯০৭-০৮ মৌসুমেও এমন দুর্দান্ত সূচনা হয়েছিল তাদের। অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছিল ম্যানইউ। পরে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে লিভারপুলকে উড়িয়ে দিয়েছিল এর্নেস্তো মাংনলের শিষ্যরা। ফুটবল লিগে ওইবার নিজেদের ১৬তম আসরে এসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার রোমেলু লুকাকু ও পল পোগবাদের নিয়ে চার বছরের লিগ শিরোপা খরা কাটানোর প্রত্যাশা করতেই পারেন মরিনহো।

অবশ্য সোয়ানসির বিপক্ষে গোলের দেখা পেতে বেশ সময় লেগেছে ম্যানইউর। ৪৫ মিনিটে পোগবার জোরালো হেড স্বাগতিক গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিয়ানস্কি ঠেকিয়ে দেন, কিন্তু বল ক্রসবারে লেগে নিচের দিকে নামে। দ্রুততার সঙ্গে ডান পা দিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এরিক বেইলি।

এর পর দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিটের ঝড়। লুকাকু, পোগবা ও অ্যান্থনি মার্শাল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন। ৮০ মিনিটে হেনরি মিখিতারিয়ানের চতুর পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকাকু। দুই মিনিট পর পোগবা নাম লিখেন গোলদাতার খাতায়, এবারও গোলে অবদান রেখেছেন মিখিতারিয়ান। ৮৪ মিনিটে পোগবার সৌজন্যে মার্শাল করেন দলের চার নম্বর গোল।

এদিকে লিভারপুল জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। আগের ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের মাঠে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়তায় জয় হাতছাড়া হয়েছিল তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা দেখা পেয়েছে জয়ের। শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে এনফিল্ডে ১-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সাদিও মানে একমাত্র গোলটি করেন ৭৩ মিনিটে।

দুটি ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট ম্যানইউর। প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে সবার উপরে তারা। বার্নলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ব্রুমউইচ আলবিওন। ম্যানইউর সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তারা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চারে ওয়াটফোর্ড ও লিভারপুল। গোল ডটকম, ইএসপিএনএফসি

/এফএইচএম/