রিয়ালকে জেতালেন রোনালদো

গোলের পর সতীর্থদের অভিনন্দনে সিক্ত রোনালদোরিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরাই অসম্ভব, তাহলে কীভাবে দলকে জেতালেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো! পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় থাকা পর্তুগিজ উইঙ্গারকে নিয়ে এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। না, কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি ব্যালন ডি’অর জয়ী। ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে বুধবার তিনি খেলেছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ট্রফিতে। দীর্ঘদিনের কোচ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে উৎসর্গ করে ১৯৭৯ সাল থেকে এ প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে রিয়াল। রোনালদোর নৈপুণ্যে ২-১ গোলে জিতে ২৭তম শিরোপা জিতেছে তারা।

বার্সেলোনার বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগে রেফারিকে ধাক্কা মারায় দ্বিতীয় লেগ ও লা লিগার প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি রোনালদো। লা লিগায় আরও তিন ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। খেলার মধ্যে না থাকলেও পারফরম্যান্সে যে মরিচা পড়েনি তার প্রমাণ দিলেন তিনি ইতালিয়ানদের বিপক্ষে। একটি গোল করেছেন, বানিয়ে দিয়েছেন অন্যটি।

শুরুটা ছিল ফিওরেন্তিনার পক্ষে। মাত্র ৪ মিনিট যাওয়ার পর তারা গোলের দেখা পায়। ডিবক্সের কিনারা থেকে দারুণ এক পাস পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ১-০ করেন জর্ডান ভেরেটোট। ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি রিয়াল। ম্যাচের ঘড়ির কাঁটা তখন ৭ মিনিটে। ফর্মে থাকা মার্কো আসেনসিও বাঁ প্রান্তে পাস দেন রোনালদোকে। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড শট নেন একেবারে গোলপোস্টের সামনে, সহজে লক্ষ্যভেদ করেন বোরজা মায়োরাল।

এর পর ৩৩ মিনিটে রোনালদোর চোখ ধাঁধানো এক গোল। বাঁ দিক থেকে দারুণ ড্রিবলিংয়ে ডিফেন্ডার জার্মান পেজেয়াকে কাটান তিনি। তারপর চমৎকার ফিনিশিংয়ে কোনাকুনি শটে মার্কো স্পোর্তিয়েলোকে বোকা বানান রোনালদো। গোল কেমন করে হলো, যেন নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না তার।

বিরতির আগে বাকি সময় তৃতীয় গোল না পেলেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে ইসকো, কাসেমিরো, গ্যারেথ বেল ও টনি ক্রুস চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু বাকি সময় আর কেউ স্কোরলাইন বদলাতে পারেনি। ইএসপিএনএফসি, গোল ডটকম