আগের দুই ম্যাচে কোরিয়া ও জাপানের কাছে ৯-০ ও ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া হার দেখেছিল ৭-০ ও ৫-০ গোলে। দুই দলই বিধ্বস্ত হওয়ার পর রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে একে অপরকে মোকাবিলা করতে নেমেছিল। লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে সেটা বলে দেয় ম্যাচের স্কোর। থাইল্যান্ডের চোনবুরিতে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা পিছিয়ে পড়েও এগিয়ে যায়। কিন্তু শেষদিকের দুই গোলে হারতে হয়েছে তাদের।
তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৩১ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়কে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানি সরকার। বাকি সময় ১০ জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছে তাদের। তবে সাহসের সঙ্গে লড়ে গেছে তারা।
এর আগে ষষ্ঠ মিনিটে অসি ফরোয়ার্ড জুলিয়া ভিগনেসকে লক্ষ্যভেদ করতে দেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা। তবে প্রতিপক্ষের অগোছালো রক্ষণভাগের সুযোগ নিয়ে তিন মিনিট পর ১-০ গোলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার লরা হিউজেস। আধ ঘণ্টায় অধিনায়ককে হারালেও বাংলাদেশ পথ হারায়নি। ৪৪ মিনিটে অসি ডিফেন্ডার সিসিলা মাতিচ তাদের ডিবক্সে স্বপ্নাকে ফাউল করেন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান, ১-১ এ সমতা ফেরান শামসুন্নাহার।
উজ্জীবিত বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায়। ৭২ মিনিটে মনিকা চাকমা একার চেষ্টায় করেন ২-১। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ৭৯ মিনিটে কিরা কুনির হেডে ২-২ করে তারা। শেষ বাঁশি বাজার ৭ মিনিট আগে মিডফিল্ডার সোফিয়া সাকালিস করেন জয়সূচক গোল।