বাবা-ছেলের লড়াই!

ছেলের সঙ্গে জিদানখেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার পর কোনও না কোনোভাবে তিনি যুক্ত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। উপদেষ্টা, সহকারী কোচের পর জিনেদিন জিদান দায়িত্ব নিয়েছেন রিয়ালের মূল দলের। পরিকল্পনাটা অনেক আগে থেকে করা বলেই হয়তো ছেলে এনসো ফের্নান্দেসকে ভর্তি করিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমিতে। ওই সময় মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে খেলতেন বলেও ছেলেকে যুব দলে দিয়ে থাকতে পারেন জিদান। সেই ছেলের বিপক্ষেই এবার মাঠের লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন বাবা জিদান! রিয়াল মাদ্রিদ-দেপোর্তিভো আলাভেসের ম্যাচ দিয়ে ফুটবল বিশ্ব দেখতে যাচ্ছে অন্যরকম এক দ্বৈরথ।

২০০৪ সালে এনসো যোগ দেন রিয়ালের একাডেমিতে। ১২ বছর যুব দলে কাটিয়ে রিয়ালের মূল দলে জায়গা পান ২০১৬ সালে। যদিও বাবা জিদানের অধীনে কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। আর এবার তাকে ছেড়েই দেয় রিয়াল। চলতি বছরের জুনে এনসো তিন বছরের চুক্তিতে যোগ দেন আলাভেসে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে লা লিগায় অভিষেকও হয়ে গেছে তার বার্সেলোনার বিপক্ষে।

আজ (শনিবার) রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামলে পুরনো ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি লড়াইটা হবে তার বাবা জিদানের সঙ্গে। অন্যরকম এক দ্বৈরথই তাই দেখতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। জিদান অবশ্য ছেলের ভালো চান না! সেটাই তো স্বাভাবিক। ছেলের বিপক্ষে ডাগ আউটে দাঁড়ানোর আগে ফরাসি কিংবদন্তির চাওয়া, ‘আশা করছি ও গোল করতে পারবে না! আমাদের দুজনের মানসিকতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার। এটা কিছুটা বিস্ময়কর, তবে আমি তার জন্য খুশি। এনসো পরিশ্রম করছে।’

আলাভেস ৫ ম্যাচ শেষে কোনও পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি, আছে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের ১৯তম স্থানে। সেই দলের ঘরের মাঠে নামার আগের জিদানের বক্তব্য, ‘এনসোর দলটা এই মুহূর্তে ভালো জায়গায় নেই, তবে তাদের স্কোয়াডটা খুব ভালো এবং দুর্দান্ত কাজ করছে। এবার আমরা ওদের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছি, যেখানে ও (এনসো) আলাভেসের পক্ষে আর আমি মাদ্রিদের দিকে। শুধু এটুকুই বলব প্রতিযোগিতামূলক একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’

বাবা জিদান আর পেশাদারী জিদানের পার্থক্যটাও বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা এই বলে, ‘ওকে আমি সবসময় খেলোয়াড় হিসেবে দেখি। আর কথা বলি বাবা হিসেবে। তবে মাঠের ফুটবলে সে অন্য দলের খেলোয়াড়। এই মুহূর্তে আমি ওকে ফুটবল নিয়ে কোনও ধরনের পরামর্শ দেই না। সম্পর্কটা শুধু বাবা-ছেলের।’

কথার মাধ্যমে বাবা-ছেলের মাঠের ফুটবলের দ্বৈরথটা জিদান বুঝিয়ে দিয়েছেন স্পষ্ট করে। তাছাড়া আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচটি রিয়ালের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণও। লা লিগার শিরোপা দৌড়ে ফিরতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। গোল ডটকম