রবিবার থেকে গায়ে জ্বর ছিল সাবিনার। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির এই ছাত্রীর অবস্থা আরও খারাপ হয় প্রচন্ড গরমে। যাতে মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার ডা. খাদেমুল ইসলাম নাঈম। ‘বাংলা ট্রিবিউন’কে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ‘বিকেল ৩-২০ মিনিটে মারা গেছে সাবিনা। হাসপাতালে আনার আগে রাস্তাতেই মারা যায় সে।’
কলসিন্দুরের পাশের গ্রাম রাণীপুরে বাড়ি সাবিনার। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপ ফুটবলে কলসিন্দুরের হয়ে খেলেছিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের এই ফুটবলার। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্জিয়া-সানজিদাদের মতো তারও স্বপ্ন ছিল বয়সভিত্তিক ফুটবলে এগিয়ে চলার। কিন্তু জগতের নিষ্ঠুর নিয়মে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে পারি দিতে হলো অন্যপারে।
তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সংস্থাটির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শোক প্রকাশ করেছেন সাবিনার মৃত্যুতে।
ডিসেম্বরেই হয়তো বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যেত সাবিনাকে। অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা দলের সঙ্গে অনুশীলন ক্যাম্পও করেছিল সে, যেটা ছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি। হলো না কিছুই; মাঠের ফুটবল শুধু নয়, পৃথিবীকেই বিদায় জানিয়ে চলে গেল সে না ফেরার দেশে।