জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন রোজিনার

তিন ম্যাচে ১৪ গোল করে জেএফএ কাপে সেরা রোজিনা। ছবি-তানজীম আহমেদম্যাচ শেষ হতেই ময়মনসিংহের খেলোয়াড়দের উল্লাস, ট্রফি নিয়ে আনন্দ-উৎসব। কনফেট্টিও উড়লো। জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলে ময়মনসিংহের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ে কলসিন্দুরের মেয়ে রোজিনা আক্তারের বিরাট অবদান। তিন ম্যাচে ১৪ গোল করে সবাইকে চমকে দিয়েছে সে। গ্রুপের দুটি ম্যাচে ১২ গোলের পর ফাইনালে করেছে দুই গোল।

অথচ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে রোজিনাকে নিয়ে কিছুটা সংশয়ে ছিল চ্যাম্পিয়নরা। জেএসসি পরীক্ষার জন্য সেমিফাইনালের আগে স্ট্রাইকার রোজিনা সহ সাত জন খেলোয়াড় ফিরে যায় ময়মনসিংহে। তাই শুক্রবার সকালে সাত জনই ঢাকায় ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কোচ সালাউদ্দিন আহমেদ।

সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফি নিয়ে সারা মাঠ দৌড়ালো রোজিনা, জ্বলে উঠলো ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। অবশ্য আরও বেশি গোল করতে না পারার আক্ষেপও ছিল তার মনে, ‘জেএসসি পরীক্ষার জন্য দুটি ম্যাচ খেলতে পারিনি। খেলতে পারলে গোলসংখ্যা ২০  হতে পারতো। তবে ১৪ গোল করে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আনন্দও কম নয়।’

বাবা হামিদুর রহমান পিকআপ ভ্যান চালান। মেয়ের খেলা দেখতে ঢাকায় আসতে পারেননি। মফিজ স্যারের প্রেরণায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া রোজিনা ২০১৪ সালে বঙ্গমাতা ফুটবলে সেরা খেলোয়াড় এবং পরের বছর একই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিল। তার লক্ষ্য, তারকা স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুনকে ছাড়িয়ে যাওয়া, ‘আমার স্বপ্ন, জাতীয় দলে সুযোগ পেলে সাবিনা আপুর চেয়ে বড় ফুটবলার হওয়া। আমাদের এলাকার সানজিদা আপুও খেলেন জাতীয় দলে।  তাদের মতো বড় ফুটবলার হতে চাই।’