রাশিয়া বিশ্বকাপে নেই ইতালি

১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার ইতালি সুযোগ পেল না বিশ্বকাপেশঙ্কার মেঘ জন্মেছিল ফ্রেন্ডস অ্যারেনার প্রথম লেগ শেষে। সান সিরোতে এসেও কাটলো না সেই মেঘ। বরং আরও জমাট হয়ে কান্নার বৃষ্টিতে ভেজালো ইতালিয়ানদের। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালির খেলা হচ্ছে না যে রাশিয়া বিশ্বকাপে! ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চৌকাঠ পেরোতে পারেনি তারা। আজ্জুরিদের হারিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সুইডেন। প্লে অফের দ্বিতীয় লেগ হয়েছে গোলশূন্য ড্র, তাতেই কাজ হয়ে যায় সুইডেনের। প্রথম লেগের ১-০ গোলের জয়ের সুবিধা নিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠে গেছে তারা।

ফুটবল ইতিহাসের রথী-মহারথীরা খেলেছেন ঐতিহ্যবাহী নীল জার্সিতে। সবচেয়ে বড় কথা নীল জার্সির ইতালি বিশ্বকাপ জিতেছে চারবার। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে সেই দলটির না খেলা মানে উত্তেজনা অনেকটাই কমে যাওয়া। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের উত্তেজনা অনেকটাই কমে গেল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর এই দলটি সুযোগ না পাওয়ায়। ৬০ বছর আগে ফুটবল মহাযজ্ঞ হয়েছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ছাড়া। ১৯৫৮ সালে সুইডেনের বিশ্বকাপে সুযোগ হয়নি তাদের। এবারও জড়িয়ে থাকলো সেই সুইডেনের নামটাই!

ফ্রেন্ডস অ্যারেনার প্রথম লেগ ১-০ গোলে হেরে আসায় ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে জয় ছাড়া কোনও পথ খোলা ছিল না ইতালির। স্বভাবতই মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে আক্রমণ কিংবা সুযোগ তৈরিতে অনেক এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। বিপরীতে রক্ষণাত্মক ফুটবলে গোটা সময় ইতালিকে আটকে রাখতে পেরেছে সুইডেন। আর এখানেই তাদের সফলতা। প্রথম লেগে যে একটা গোল দিয়ে রেখেছিল, সেটাই তাদের তুলে দিল বিশ্বকাপে।

সুইডেনের বিশ্বকাপে ওঠার আনন্দভাগ্যকে দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই ইতালির। গোলের কম চেষ্টা তো আর করেনি তারা। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রেখেছে তারা সুইডেনের রক্ষণভাগকে। শুরুর দিকের হিসাব না হয় বাদই রাখা হলো, শেষদিকে স্বাগতিকরা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, সেখানে আসলে ফুটবলদেবতা মুখ তুলে তাকাননি। নইলে নির্ধারিত সময়ের শেষ ৫ মিনিটে অন্তত দুটি গোল পেতে পারলো ইতালি।

তা পায়নি বলেই এক যুগ পর আবার বিশ্বকাপের মূল আসরে সুইডেন। ২০০৬ সালে জার্মানির আসরে শেষবার খেলেছিল তারা। আর ১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার ফুটবল মহাযজ্ঞ হবে ইতালিকে ছাড়া।