বাংলাদেশ এখনও টানে লি টাককে

লি টাকএক মৌসুম খেলেই সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন লি টাক। গত মৌসুমে আবাহনীর লিগ শিরোপা জেতার পথে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের অবদান অনেক। মাঝমাঠে তার কুশলী পারফরম্যান্স এখনও জ্বলজ্বলে। নিজে ১০ গোল করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতা সানডে চিজোবার ১৯ গোলের পেছনে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলে যাওয়া হাইতির সনি নর্দে ও ইংল্যান্ডের লি টাক ছিলেন ব্যতিক্রম।

সেই লি টাক এখন মালয়েশিয়ান লিগে সেরা বিদেশিদের একজন। প্রিমিয়ারে তার দল নেগেরি সেমবিলান এফএ হয়েছে পঞ্চম। প্রথম আসরে খেলেই সবার নজর কেড়েছেন তিনি। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব চেপেছিল তার কাঁধে। আপাতত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ, এখন তিনি নতুন ক্লাবের সন্ধানে। বাংলাদেশের একাধিক ক্লাব থেকে আমন্ত্রণ থাকলেও পারিশ্রমিক ও অন্যান্য কারণে চুক্তিবদ্ধ হননি।

আসলে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের লক্ষ্য আরও সামনের দিকে যাওয়ার। ২৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন তেমনটাই, ‘আপাতত নেগেরি সেমবিলানের সঙ্গে চুক্তি শেষ। ইতিমধ্যে একাধিক ক্লাবের সঙ্গে কথা চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত হবে সবকিছু। তবে আমার লক্ষ্য হলো মালয়েশিয়ার র্শীষ দল, যেমন পাহাং এফসির মতো দলে খেলা। এখন দেখা যাক কী হয়।’

বাংলাদেশে আবাহনীতে খেলার স্মৃতি রোমন্থন করে লি টাক বলেছেন,‘ আবাহনীর হয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গোল করেছি, করিয়েছিও। এটা তো কখনও ভুলতে পারব না। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচ ও কর্মকর্তাদের কৃতিত্বও কম ছিল না।’

আবাহনীর শিরোপা উৎসবে লি টাকঢাকার উৎসব এখনও স্মৃতিতে টাটকা তার। পহেলা বৈশাখে লাল পাঞ্জাবি পরে দিনভর ঘুরে বেড়ানোর সেই মুহূর্তটা ধরা দিলো এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময়ে, ‘একেক দেশের সংস্কৃতি একেক রকম। বাংলাদেশে যতদিন ছিলাম খারাপ লাগেনি। ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলাম। এক উৎসবে (পহেলা বৈশাখ) তো বাহারি কাপড় পরে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। সেই দিনটি মনে রাখার মতোই।’

সুযোগ পেলে আবারও বাংলাদেশের ক্লাবে খেলার ইচ্ছা আছে তার। তবে শিগগিরই সেই সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়ে রাখলেন লি টাক, ‘বাংলাদেশের চেয়ে মালয়েশিয়ার লিগ আরও উঁচুতে। তবে বাংলাদেশের লিগে লড়াকু মনোভাব কম নেই। আরও আকর্ষণীয় করতে হবে। খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে আরও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনও সময় সুযোগ আসে, তাহলে বাংলাদেশে খেলতে আসতে পারি। তবে এখন চিন্তা-ভাবনা নেই।’