মেসিতে মুগ্ধতা, আবার হতাশাও

মেসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রিও ফার্ডিনান্ডইশ, লিওনেল মেসি যদি না খেলতেন বার্সেলোনায়! তাহলে রোমে হতো লাল উৎসব, ওয়েম্বলির আনন্দের ঢেউয়ে নেচে উঠতো গোটা ইংল্যান্ড। অন্তত রিও ফার্ডিনান্ড মনে করেন তেমনটাই। তিন বছরের মধ্যে দুইবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে চ্যাম্পিয়নস লিগ হারতে হয়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে। মেসির কারণেই দুটো শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যানইউয়ের সাবেক ডিফেন্ডার ফার্ডিনান্ড।

২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানইউ। ইতালির রাজধানী রোমের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল ইংলিশ ক্লাবটি। যেখানে ১০ মিনিটে স্যামুয়েল এতোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কাতালানরা জয় নিশ্চিত করে ৭০ মিনিটে মেসির লক্ষ্যভেদে। এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১১ সালে ওয়েম্বলির ফাইনালে আবার মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা-ম্যানইউ। সেখানে কাতালানদের ৩-১ গোলের জয়ের পথে ৫৪ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

শুধু গোলের কারণে নয়, ম্যানইউয়ের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে বার্সেলোনার জয়ের ভিতটা গড়েছিলেন আসলে মেসিই। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ম্যাচ দুটি না খেললে ফলাফল অন্যরকম হতো বলে মনে করেন ফার্ডিনান্ড। মাঠের পারফরম্যান্সে মেসিতে মুগ্ধ সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডারের ভাষায়, “আমার হাত দিয়ে ওকে আমি আঘাত করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ও আমার শরীরের নিচের দিকটা দেখছিল। তখন আমি নিজে নিজেই ভেবেছিলাম, এই ছেলেটা জাদুকর।’

ম্যাচ শেষে তাই ড্রেসিংরুমে সবার ভাবনা ছিল একই। কী সেটা? শুনুন ফার্ডিনান্ডের মুখেই, ‘ড্রেসিংরুমে আমরা সবাই ভেবেছিলাম, মেসি না থাকলে আমরা হয়তো জিততাম বার্সেলোনার বিপক্ষে ওই ম্যাচগুলো।’ মার্কা