জিতেই চলেছে চট্টগ্রাম আবাহনী

চট্টগ্রাম আবাহনী-বিজেএমসি ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি-বাফুফেএমনিতে খেলার সুযোগ কম আসে। বিদেশিদের ভিড়ে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে হঠাৎ কখনও মাঠে নামার সুযোগ হয় জাফর ইকবালের। বুধবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তেমন সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। লিগে জাফরের প্রথম গোলের সঙ্গে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এলিসন উডোকার লক্ষ্যভেদ টানা তৃতীয় জয় এনে দিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত তাদের।

লিগের প্রথম পর্বেও একই ব্যবধানে জিতেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৩ ম্যাচে দশম জয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে বিজেএমসি।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বিজয়ী দল। কিন্তু প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া জাহিদ হোসেনের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৩১ মিনিটে অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনীকে হতাশ হতে হয়নি। জাহিদের ফ্রিকিকে চমৎকার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এলিসন। ৪৪ মিনিটে জাহিদেরই জোরালো শট ঠেকিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি বিজেএমসির গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম।

বিরতির পরও চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণে ভাটা পড়েনি। যদিও দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়েছে ইনজুরি সময়ে। ৯১ মিনিটে আরেক বদলি আব্দুল্লাহর কর্নারে হেড করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জাতীয় যুব দলের স্ট্রাইকার জাফর। এই গোলের জন্য খেলা শেষে ডাগ আউটে জাতীয় দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের অভিনন্দনও পেয়েছেন তিনি।

আরেকটি জয় পেয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ সাইফুল বারী টিটু খুশি। যদিও একাধিক গোল মিস নিয়ে খানিকটা হতাশা তার কণ্ঠে, ‘দল জিতলে খুশি তো লাগবেই। তবে আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে গোলসংখ্যা বাড়তে পারতো। কেন জানি আমাদের জয়ের ব্যবধান বড় হচ্ছে না!’