সানডের নৈপুণ্যে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী

আবাহনীর জয়ের নায়ক সানডে চিজোবার গোলের আনন্দ। ছবি-বাফুফেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফিরতি পর্বে সানডে চিজোবাকে দলে নিয়েছে ঢাকা আবাহনী। প্রথম দুই ম্যাচে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বুধবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন তিনি। সানডের জোড়া গোলে আবাহনী জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। লিগের প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জিতেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে আবাহনী টানা চার ম্যাচে হারালো মোহামেডানকে।

১৪ ম্যাচে নবম জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। অন্যদিকে টানা তৃতীয় হারে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান ষষ্ঠ।

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে আগের সেই উত্তাপ-উত্তেজনা কিছুই আর নেই। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দেশের দুই জনপ্রিয় দলের লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল হাজার দুয়েক দর্শক!    

প্রথমার্ধে দুই দলই সুযোগ পেয়েছিল। ২০ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজির শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে হতাশ করে মোহামেডানকে। সাত মিনিট পর আবাহনীর হতাশার পালা। দারুণ এক ক্রসে সানডে আর নাবীব নেওয়াজ জীবনের কেউই পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৩৬ মিনিটে মোহামেডানের গোলরক্ষক মামুন খানের দিকে সরাসরি বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন রুবেল মিয়া।

বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে যায় আবাহনী। রুবেলের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে  বক্সে ঢুকে পড়া সানডেকে ফাউল করেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু। সঙ্গে-সঙ্গে বেজে ওঠে রেফারি মিজানুর রহমানের পেনাল্টির বাঁশি। ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন সানডে।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের একাধিক সুযোগ পেয়েছে মোহামেডান। ৪৯ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া বিপুল আহমেদের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ৬০ মিনিটে অবশ্য সোহেল নয়, কিংসলের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় সমতা ফেরাতে পারেনি সাদা-কালো শিবির। স্যামসন ইলিয়াসুকে আবাহনীর ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। কিন্তু লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিংসলের শট চলে যায় সাইড বারের পাশ দিয়ে।

এই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে মোহামেডানকে। ৭১ মিনিটে জীবনের লব থেকে সানডের হেডে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর (২-০)।

শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার রসদ পেয়ে আবাহনীর ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচ আনন্দিত। খেলা শেষে তিনি বলেছেন, ‘মোহামেডানকে দুই গোলে হারিয়ে আমি খুশি। এই জয়ে আমরা শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকলাম।’