আবার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

 

প্রথম গোলদাতা নাসিরউদ্দীনকে জড়িয়ে সতীর্থদের উল্লাস। ছবি-বাফুফেএক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা ধরে রেখেছে ঢাকা আবাহনী। শুক্রবার অলিখিত ফাইনালে আকাশি-হলুদ জার্সিধারিরা ২-০ গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে। চ্যাম্পিয়নদের দুই গোলদাতা ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দীন চৌধুরী ও নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা।

পেশাদারিত্বের যুগে প্রবেশের পর প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা আবাহনীর রাজত্ব চলছেই। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো লিগ জিতলো তারা। তিনবার জিতেছে শেখ জামাল, আর একবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ২১ ম্যাচ থেকে আবাহনীর সংগ্রহ ৫১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে জামালের ৪৭ পয়েন্ট। দুই দলেরই আর একটি করে ম্যাচ বাকি।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শীতের সন্ধ্যায় দুই শিরোপা প্রত্যাশীর লড়াই দেখতে উপস্থিত হয়েছিল কয়েক হাজার দর্শক। তবে গ্যালারিতে ‘আবাহনী, আবাহনী’ চিৎকার শোনা গেছে বেশি। ভক্তদের হতাশ করেননি এমেকা-সানডে-জীবনরা।

শুরুতে অবশ্য আধিপত্য ছিল শেখ জামালের। বল নিয়ন্ত্রণে রেখে গোল করার চেষ্টা করেছে তারা, কিন্তু সফল হয়নি। বরং আবাহনী ২৩ মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায়। কর্নার থেকে বল পেয়ে একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস করেন সোহেল রানা। লাফিয়ে উঠে হেড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন নাসিরউদ্দীন (১-০)।

প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ শিরোপা জিতে দারুণ খুশি আবাহনীর সমর্থকরা। ছবি-বাফুফেলিগে এটা নাসীরউদ্দিনের ষষ্ঠ গোল। ডিফেন্ডার হয়েও নিয়মিত গোল করে আবাহনীর শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

২৭ মিনিটে আরেকটি সুযোগ এসেছিল আবাহনীর সামনে। তবে সাদ উদ্দীনের ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বলে সানডে পা ছোঁয়ানোর আগে শেখ জামালের ডিফেন্ডার খান মোহাম্মদ তারা ক্লিয়ার করেন। 

৩৯ মিনিটে শেখ জামালের সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয়। ডান প্রান্ত থেকে জাভেদ খানের ক্রসে নাইজেরিয়ান রাফায়েল ব্যাকহিল করেছিলেন। কিন্তু গাম্বিয়ার সলোমন কিং শট নিতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগে জাভেদের শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল।

এক গোলে এগিয়ে বিরতিতে যাওয়া আবাহনীকে ৫১ মিনিটে হতাশ করেন এমেকা। ইমন বাবুর কর্নার থেকে তার শট চলে যায় পোস্টের বাইরে। ৬ মিনিট পর সানডে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও ক্রসবার উঁচিয়ে বেরিয়ে যায় বল। তবে ইনজুরি সময়ে দলকে হতাশ করেননি সানডে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের বাঁকানো শটে ষষ্ঠ শিরোপা নিশ্চিত হয় আবাহনীর।