চট্টগ্রাম আবাহনীকে রুখে দিলো সাইফ স্পোর্টিং

চট্টগ্রাম আবাহনী-সাইফ স্পোর্টিং ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে শেষদিকে। ছবি-বাফুফে শুরু হলো মৌসুমের শেষ ফুটবল টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ। বিদেশিরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বলে স্থানীয় ফুটবলারদের জন্য এই প্রতিযোগিতা এক কঠিন পরীক্ষা। উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরির সময়ে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের লড়াইয়ে তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সাইফ স্পোর্টিং। কিন্তু মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জোরালো শট ফিরিয়ে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। চার মিনিট পর চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার কৌশিক বড়ুয়ার ভলি ফিস্ট করেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে হতাশ করেছেন সুশান্ত ত্রিপুরা। ১৩ মিনিটে উইঙ্গার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ফ্রি কিক থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন এই ডিফেন্ডার। কিছুক্ষণ পর আব্দুল্লাহর ক্রসেই তিনি টোকা দিতে পারেননি। ৬৭ মিনিটে আবদুল্লাহর ফ্রি কিক গোলরক্ষক ফিস্ট করার পর সুশান্তের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

সবাই যখন গোলশূন্য ড্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই দুই গোলের নাটকীয়তা। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে আব্দুল্লাহর কর্নার এক ডিফেন্ডার হেড করে ফেরানোর পর মাশুক মিয়া জনির ভলিতে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে পরের মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা নিয়ে আসেন জুয়েল রানা।

প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার তিন দিন পরই মাঠে নেমে কিছুটা হতাশ সাইফ স্পোর্টিংয়ের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত। এই প্রতিযোগিতার আগে এক সপ্তাহ বিশ্রাম পেলে ভালো হতো, খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারতো।’

পরের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত ফরাশগঞ্জ ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচে ২২ আর ৮৩ মিনিটে বিজয়ী দলের দুটি গোলই করেছেন ফরহাদ মনা। ৮৮ মিনিটে বিশাল দাস একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও হার এড়াতে পারেনি ব্রাদার্স।