বার্সেলোনায় যাওয়ার গুঞ্জনটা গত কয়েকদিন খুব বেশি শোনা যাচ্ছে গ্রিয়েজমানের। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ইউরোপা লিগ দিয়েই অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের জার্সিতে শেষ ফাইনাল খেলতে নামবেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। সে কারণেই কি শিরোপা জিততে এতটা মুখিয়ে ছিলেন তিনি? উৎসুক মানুষের মনে এই প্রশ্ন উদয় হলেও গ্রিয়েজমানের তাতে কান দেওয়ার সময় কোথায়! তিনি এখনও কতটা অ্যাতলেতিকোর, তার প্রমাণ খুব ভালোভাবেই পাওয়া গেয়ে লিওঁর ফাইনালে।
শুরুটা মন্দ ছিল না মার্শেইয়ের। বল পজেশন ধরে রেখে অ্যাতলেতিকোকে সুবিধা করতে দেয়নি খুব একটা। তবে ২১ মিনিটে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারে তারা! গোলরক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া বল জামবো আঁগুইসা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলে চলে আসে গাবির কাছে। অ্যাতলেতিকো অধিনায়কের বাড়ানো পাস ২১তম মিনিটে ফাঁকা রক্ষণের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গ্রিয়েজমান বল জড়িয়ে দেন জালে।
এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে গতি বাড়ে অ্যাতলেতিকোর। যদিও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়েই শেষ করতে হয় প্রথমার্ধ। বিরতি থেকে ঘুরে আসার পর আক্রমণে কোনও ছেদ পড়েনি মাদ্রিদের ক্লাবটির। ফলও পেয়ে যায় দ্রুত, ৪৯ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিয়েজমান। কোকের পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে চমৎকার চিপে নিজের সঙ্গে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এবার দিয়ে ইউরোপা লিগের তৃতীয় শিরোপা জিতলো লা লিগার ক্লাবটি। এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালে তারা জিতেছিল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটির শিরোপা।