রোনালদোকে কিনতে না পারার আক্ষেপ ওয়েঙ্গারের

sport-preview-ronaldo-wenger২২ বছর ধরে আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। এই দীর্ঘ সময়ে খেলোয়াড়দের দল বদল নিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। অনেক খেলোয়াড়কে হাতের মুঠোয় পেয়েও ছেড়ে দিতে হয়েছে প্রতিপক্ষ শিবিরে। তবে তার কোচিং ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় আক্ষেপ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে চুক্তি করতে না পারা।

পর্তুগিজ উইঙ্গার যখন স্পোর্তিং ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখন আর্সেনাল নজর দেয় তার দিকে। ২০০৩ সালে গানারদের সঙ্গে এই লড়াইয়ে শামিল হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং তাদের পরাস্ত করে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডে রোনালদোকে কিনে।

ওয়েঙ্গারের আফসোস, রোনালদোকে কিনতে পারলে উত্তর লন্ডনের ক্লাবের ইতিহাস বদলে যেতে পারতো।

দল বদল নিয়ে সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা আর্সেনালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে জানালেন বিদায়ী কোচ, ‘এমন খেলোয়াড় (হাতছাড়া হওয়া) অবশ্যই আছে, সবার প্রথমে মনে আসে রোনালদোর নাম। সে এখানে তার মায়ের সঙ্গে এসেছিল এবং আমরা তার সঙ্গে চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম।’

পর্তুগালের সাবেক কোচ ওই সময় ম্যানইউর সহকারী কোচ ছিলেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোনালদোর যাওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা তার ছিল বলে মনে করেন ওয়েঙ্গার, ‘কিন্তু ম্যানইউ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেল। ওই সময় কার্লোস কুইরোজ ছিল তাদের, যিনি সহকারী কোচ। স্পোর্তিং লিসবনের বিপক্ষে ইউনাইটেড খেলল এবং রোনালদো ছিল অসাধারণ। তারপর তারা চুক্তি করল তাকে।’

রোনালদোকে পেলে আর্সেনালের ইতিহাস বদলে যেত বললেন ফরাসি কোচ, ‘কল্পনা করা যায় থিয়েরি অঁরি ও রোনালদো একসঙ্গে থাকলে ওই সময় কী হতো! রুনি, রোনালদো ও ফন নিস্টলরয়কে সঙ্গে নিয়ে পরে ম্যানইউ ব্যতিক্রমী এক দল হয়ে উঠেছিল।’

চুক্তি না হওয়ার কারণ নিয়ে ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘আমরা সাড়ে ৪ মিলিয়ন পাউন্ডেও আলোচনা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। চুক্তির খুব কাছে ছিলাম। কিন্তু ম্যানইউ ১২ মিলিয়ন পাউন্ড হাঁকাল, ওই সময় এতটা সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’ গোল ডটকম