লুকা মদরিচ-ইভান রাকিতিচদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে, ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করে ক্রোয়েশিয়া চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। আর এই সাফল্যের পথে প্রধান চরিত্র কোচ দালিচ। চমৎকার ফরমেশনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এই কোচকে নিশ্চিতভাবেই পেতে চাইবে ইউরোপের বড় কোনও ক্লাব। সেখানে যদি ৫১ বছর বয়সী কোচ ব্রাজিল কিংবা বার্সেলোনা পেয়েও যান, তবু সবসময় ‘এক নম্বরে’ রাখবেন ক্রোয়েশিয়ার কোচের চাকরি।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপে বেশ খারাপ জায়গায় ছিল ক্রোয়েটরা। ওই অবস্থায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে বরখাস্ত হওয়া আন্তে কাচিচের জায়গায় প্রধান কোচের চেয়ারে বসেন দালিচ। গ্রিসের বিপক্ষে বাছাই পর্বের প্লে অফ জিতে রাশিয়ার মূল পর্ব নিশ্চিত করা এই দলটিই গড়লো ইতিহাস। দালিচের অধীনে চমৎকার এক দল হিসেবে জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপের ফাইনালে।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরে বিশ্ব জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হলেও ক্রোয়েটের আনন্দের সীমা নেই। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের ফাইনালে খেলার তৃপ্তি সবার চোখেমুখে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ জাগরেবে জড়ো হয়েছিল বীরদের বরণ করতে। সেখানেই দালিচ ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি হয়তো ব্রাজিল কিংবা বার্সেলোনার কোচ হতে পারব, তবে আমার কাছে সবসময়কার প্রিয় চাকরি হবে এটাই- ক্রোয়েশিয়ান জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া।’
ক্রোয়েশিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার আগে এশিয়ায় বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে গেছেন দালিচ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে ২০১৬ সালে তুলেছিলেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। আরব আমিরাতের ক্লাবটিতে ছিলেন তিনি তিন বছর। গোল ডটকম