বিদায় বলে দিলেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষকও

দানিয়েল সুবাসিচরাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন দানিয়েল সুবাসিচ। গোলবারের নিচে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হয় ক্রোয়েশিয়ার। বিশ্বকাপের সেই তারকা গোলরক্ষক বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে।

বুধবার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মারিও মানজুকিচ। তার আগে ডিফেন্ডার ভেদরান চোরলুকাও ইতি টানেন জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের। তাদের পথেই হাঁটলেন এবার সুবাসিচ। ৯ বছরের জাতীয় দলের অধ্যায়কে বন্ধ করে দিলেন তিনি।

ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পথে ৩৩ বছর বয়সী গোলরক্ষকের অবদান অনেক। ডেনমার্ক ও স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে তার দুর্দান্ত সেভেই শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চের পথ খুলে যায় ক্রোয়েটদের। ইউরোপিয়ান দেশটির হয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলা সুবাসিচ বিদায়ের ঘোষণায় বলেছেন, ‘আমাদের সবারই মেয়াদ শেষের তারিখ আছে। যে পর্যন্ত খেলতে পারি, আমাদের সেটাই করা উচিত। হয়তো আরও একটি প্রতিযোগিতা (বিশ্বকাপ) খেলতে পারতাম, তবে সেটা অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যেত।’

তরুণদের সুযোগ দিতেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই গোলরক্ষক, ‘আমি আমার সতীর্থদের সুযোগ করে দিতে চাই, যারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে, ঠিক আমি যেমনটা ছিলাম। চেয়েছি তাদের স্বপ্ন পূরণ হোক ক্রোয়েশিয়ার হয়ে খেলে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘গর্ব ও সম্মানের সঙ্গে আমি আমার সবকিছু দিয়েছি প্রত্যেকটা ম্যাচে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমি পরিপূর্ণ, সুখী মানুষ, যে তার দেশের হয়ে খেলেছে এবং পরেছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জার্সি।’

২০০৯ সালে ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে অভিষেক হয় সুবাসিচের। ৯ বছরের ক্যারিয়ারে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি আগের গোলরক্ষক স্তিপে প্লেতিকোসার জন্য। তার অবসরের পর ২০১৬ সালের ইউরোতে ক্রোয়েশিয়ার ‘এক নম্বর’ গোলরক্ষকের জায়গা পান সুবাসিচ। গোল ডটকম