খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিলেন বাংলাদেশের কোচ

সংবাদ সম্মেলনে কোচ ও অধিনায়ককাতার ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কঠোর অনুশীলন খেলোয়াড়রা মাঠে কতটা ফলপ্রসূ করতে পারে, সেটা দেখতে চেয়েছিলেন জেমি ডে। আশাবাদীও ছিলেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এশিয়ান গেমস ফুটবলের গ্রুপ পর্ব শেষে জামাল ভূঁইয়ারা কোচের প্রত্যাশা যে পূরণ করেছেন, সেটা না বললেও চলে। কাতারকে হারিয়ে প্রথমবার টুর্নামেন্টের নকআউটে ওঠার কৃতিত্ব তাই খেলোয়াড়দের দিলেন বাংলাদেশের কোচ।

এশিয়ান গেমসে এনিয়ে কেবল চতুর্থ ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। তাতেই নিজেদের ফুটবলে ইতিহাস গড়ল তারা। ১৯৮২ সালে দিল্লিতে মালয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারানোর চার বছর পর সিউলে নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। আর ২০১৪ সালে ইনচনে আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবার এলো সবচেয়ে মূল্যবান জয়। কাতারের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে প্রথমবার শেষ ষোলোতে।

এই অর্জনে বাধভাঙা আনন্দ উদযাপন করেছেন খেলোয়াড়রা। তাদের সঙ্গে সেটা ভাগাভাগি করেছেন কোচও। আর ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে ঝরলো খেলোয়াড়দের প্রশংসা, ‘আমরা এত দিন ধরে যে অনুশীলন করছি তারই ফল পেলাম। কঠোর পরিশ্রম করলে যে অনেক সময় সাফল্যের দেখা মেলে, সেটাই প্রমাণ হলো। এই প্রথম এশিয়াডে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে। এর পুরো কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের, এটা তাদের অর্জন। তাদের কারণেই এমন সাফল্য এসেছে।’

বাংলাদেশ কাতারের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে। তারই পুরস্কার তারা পেয়েছে ইনজুরি সময়ে গোল করে। নকআউট নিয়ে এখন কোনও ভাবনায় ডুবতে চান না জেমি। আপাতত মুহূর্তটা উপভোগ করার কথা বললেন তিনি, ‘তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে মাঠে। পুরো ৯০ মিনিট খেলেছে, কোনও সময় ছন্দ হারায়নি। আমরা এখন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে চিন্তিত নই, এই মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে।’

গোল করে দলকে জেতাতে পারায় জয়ের আনন্দটা সবচেয়ে বেশি জামালের। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটা দিন গেল। সবাই উৎসব করছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ তো আনন্দমুখর। আমি আজকের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি।’