‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে পরের ম্যাচে তারা আগামী মঙ্গলবার খেলবে নেপালকে।
দেড় মাস আগে এই ভেন্যুতেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সাফের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে শিরোপা উৎসব করা হয়নি তাদের। তার আগে গ্রুপেও পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাদের, যেখানে ১৪-০ গোলের উড়ন্ত জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও ছাড় পেল না পাকিস্তান।
দুই মিনিট পর পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ, খুব সহজে লক্ষ্যভেদ করে গোলদাতার খাতায় নাম লিখেন ডিফেন্ডার শিউলি আজিম। ৩৭ মিনিটে মিসরাত জাহান মৌসুমী করেন সপ্তম গোল। কৃষ্ণা রানীর সহজ চেষ্টা গোলরক্ষক তুবা ইদ্রিস ঠেকালেও ধরে রাখতে পারেননি, সুযোগ পেয়েই গোল করেন অধিনায়ক। বিরতিতে যাওয়ার একটু আগে দলের অষ্টম গোল করেন স্বপ্না। ৪৪ মিনিটে কৃষ্ণা রানীর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে গোলমুখের সামনে থেকে নিজের চতুর্থ গোল করেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড।।
৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকে দলের ১১তম গোল করেন শিউলি। দুই মিনিট পর আঁখির লম্বা ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়ে ফাঁকা গোলপোস্টে নিজের চতুর্থ গোল করেন মার্জিয়া। ৭৩ মিনিটে মাসুরা পারভিনের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে একটু সামনে এগিয়ে ডিবক্সের প্রান্ত থেকে উঁচু শটে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না। পরের মিনিটে ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে স্বপ্না পাস দেন কৃষ্ণা রানীকে। খুব সহজেই দলের ১৪তম গোল করেন তিনি। ক্রসবারে লাগা শট ফিরে এলে ৭৬ মিনিটে স্বপ্না করেন নিজের ষষ্ঠ গোল।
৭২ মিনিটে মৌসুমীর বদলি হয়ে মাঠে নামা তহুরা খাতুন ৮৭ মিনিটে গোল পান। খেলা শেষ হওয়ার মুহূর্তে কর্নার থেকে ছুটে আসা বল জটলার মধ্যে থেকেই জালে জড়ান স্বপ্না। এটি ছিল ম্যাচে তার সপ্তম গোল।