শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি ফিলিস্তিন-তাজিকিস্তান

শিরোপার আশা নিয়ে অনুশীলনে তাজিকিস্তানআবারও তাজিকিস্তান-ফিলিস্তিন মুখোমুখি। এবার মঞ্চটা বিশাল, চূড়ান্ত অর্জনের লড়াই। প্রথমবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ট্রফিতে হাত ছোঁয়ার ম্যাচে গ্রুপের পর আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে নামছে দুই দল। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে লড়াই করবে তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, মাছরাঙা ও নাগরিক টিভি।

ফাইনালের আগে ফিলিস্তিন দল কিছুটা নির্ভার থাকতেই পারে। কারণ গ্রুপে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে তারা।। এছাড়া ফিফা র‌্যাংকিংয়েও এগিয়ে- ১০০তম।

দলের আলজেরিয়ান কোচ নুরুউদ্দিন আলীকে ট্রফি জয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আগের জয়, ‘ফাইনাল খেলা সহজ হবে না। তবে আমরা ভালো খেলতে আশাবাদী। আগেও তাদের হারিয়েছি।’

ফাইনালের আগে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য ফিলিস্তিন বেশি সময় পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় ফিরে বিকেলে জিম করেছে। সেক্ষেত্রে তাজিকিস্তান একদিন সময় বেশি পেয়েছে। ফিলিস্তিনের কোচ তাই বলেছেন, ‘আমরা ফাইনালের জন্য ২৬ ঘণ্টা সময় পেয়েছি, প্রস্তুতির জন্য। অন্যদিকে তাজিকিস্তান একদিন বেশি পেয়েছে। তারা ভালো দল, কঠিন ম্যাচ হবে। ফাইনাল যখন খেলব, তখন হারানোর কিছু নেই। জিততেই হবে।’

সেমিফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ওঠা ফিলিস্তিন দেশের মানুষকে ট্রফি জয়ের আনন্দে মাতাতে চায়। দলের ডিফেন্ডার তামের সালাহ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য জিততে চাই (ফাইনাল), দেশের জন্যও।’

ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ১২০ নম্বরে থাকা তাজিকিস্তান ফাইনালে গ্রুপ হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। সেমিফাইনালে ফিলিপাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান তাজিকিস্তান কোচ তুকতায়েভ আলিস, ‘ফাইনালে সেরাটা দিতে চাই। ভালো খেলে ট্রফি জেতাই আমাদের লক্ষ্য। যদিও আমরা গ্রুপে তাদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছি। তবে এবার আশা করছি ফল ভিন্ন হবে। দুটি দল ফাইনালে গেছে। সবাই চাইবে শিরোপা জিততে, আমরাও চাই।’

তাজিকিস্তান তাদের একমাত্র ট্রফি এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে জিতেছিল ঢাকার মাঠেই ২০০৬ সালে। এবারও ভাগ্য পাশে থাকবে আশাবাদী কোচ, ‘বাংলাদেশের মাঠ আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছি এখানে, ২০০৬ সালে। আশা করছি এবারও ভাগ্য আমাদের পক্ষে থাকবে। ফাইনালে কেউ দুর্বল নয়, প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি আমরা।’