‘জেমি ডে শুধু একজন কোচ নন, বন্ধুও’

খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমন খুঁনসুটি মাঝেমধ্যেই করেন জেমিইংলিশ কোচ জেমি ডে এসেই তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা পেয়েছেন- এশিয়ান গেমস, সাফ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। তিনটি আসরেই বাংলাদেশ সাফল্যের রেখা দেখতে পেয়েছে। আর এই অল্প সময়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। সবশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল নিয়েও প্রথম ধাপে কাজ শেষ করলেন। খেলোয়াড়দের কাছে জেমি শুধু কোচ নন, একজন বন্ধুও বটে!

ক্যাম্পে কিংবা ক্যাম্পের বাইরে সবার সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন জেমি। যখন যার প্রয়োজন সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন। কারও কোনও সমস্যা থাকলে তা সমাধানে এগিয়ে আসছেন। সাধারণত এমন কোচ কমই দেখা যায়। কেউ কেউ রগচটা হন, আবার অনেকেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। জেমি এই জায়গায় ব্যতিক্রম।

কোচ জেমির দর্শন যে এমনই। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা আমার জন্য খেলবে। ভালো খেলতে চাইবে। খেলাটা তারা উপভোগ করবে। সুতরাং এই জায়গায় দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতীয় দলের অন্যতম মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ বাবু কোচের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘জেমি ডের মধ্যে বন্ধুর মতো মিশে যাওয়ার প্রবণতা আছে। খেলাধূলায় এটা ইতিবাচক দিক। শুধু যারা একাদশে থাকেন তারাই নন, বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের সঙ্গেও বন্ধুসুলভ আচরণ। সবার সঙ্গে মিশে গিয়ে সর্বোচ্চটা আদায় করার চেষ্টা করেন তিনি। আবার শাসনও করে থাকেন। রাগারাগি করার দরকার পড়লে তাও করে থাকেন।’

জাতীয় দলের অনুশীলনে একদিনের উদাহরণ টেনে এই মিডফিল্ডার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, “অনুশীলনে কয়েক দিন আগে কেন জানি আমার মন বেশ খারাপ ছিল। তিনি বিষয়টি খেয়াল করে কাছে এসেই জিজ্ঞস করে বসলেন, ‘কী হয়েছে? মন খারাপ কেন।’ অনুশীলনটা যেন একঘেয়েমির মতো না হয়, এজন্য সবসময় উপভোগ করতে বলেন। এটা শুধু আমার বেলায় নয়, সবার ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।’

জেমির মধ্যে সাবেক কোচ জর্জ কোটানের ছায়া দেখতে পান এই ইমন, ‘এই দেখেন না অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের তিনটি আসরে খেলা বদলে গেছে। সাফল্যও এসেছে। তিনি শুধু একজন কোচ নন, বন্ধুর মতোই। ক্যারিয়ারে অনেক কোচ পেয়েছি। তবে জেমির মধ্যে আমি জর্জ কোটানের ছায়া দেখতে পাই।’

জাতীয় দলের অন্যতম গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানারও একই মত, ‘জেমি ডে আসলে আমাদের কাছে বন্ধুর মতোই। তবে কাজের জায়গায় কোনও ছাড় নেই। কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সমস্যার কথা ভাগাভাগি করা যায়। এছাড়া তিনি নিজেও জানতে আগ্রহী থাকেন। খেলোয়াড়দের মনে কী আছে সেটাও জানতে চান। এতে করে খেলায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।’