‘হ্যাটট্রিকম্যান’ সানডেকে ঘিরেই সব আলো

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবাপ্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। বিরতির সময় এ নিয়ে দুর্ভাবনা থাকলেও ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দে অধীর আকাশি-নীল দলের সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধে সানডে চিজোবার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী, ৪-২ গোলে জিতে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সবার আগ্রহের কেন্দ্রে।

গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে গোল করতে পারেননি সানডে। টুর্নামেন্টে প্রথম গোল করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে, আরামবাগের বিপক্ষে। আর আজ শেষ চারের লড়াইয়ে তিন-তিনটি দুর্দান্ত গোলের মালিক। ম্যাচশেষে সবার আগে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার আজকের অর্জনের পেছনে সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বেশি অবদান। আমার সতীর্থদের অবদানও কম নয় অবশ্য। তাদের সহযোগিতা ছাড়া হ্যাটট্রিক করতে পারতাম না। আমি তিন গোল করেছি, দলও ফাইনালে উঠেছে। সেজন্য আমি ভীষণ খুশি।’

আবাহনীর সাফল্যের কারণ হিসেবে তিনি বললেন, ‘আমাদের দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো সমঝোতা আছে। আমরা একে অন্যকে ভালোভাবে চিনি, জানি। আজ আমরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতেছি। সেমিফাইনালের মতো ভালো খেলে ফাইনালেও জিততে চাই।’

দলের শিরোপার পাশাপাশি ব্যক্তিগত একটা অর্জনও হাতছানি দিচ্ছে সানডেকে। বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কোলিনদ্রেসের সঙ্গে চার গোল নিয়ে তিনি এখন যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। পুরস্কারটা নিজের করে নেওয়ার লক্ষ্য সানডের, ‘টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা হতে চাই আমি। ফাইনালে আরও গোল করার চেষ্টা করবো।’