মেয়েদের সাফ ফুটবলে সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ

অলিম্পিক বাছাই পর্বের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে সাফ ফুটবলে সাফল্য পেতে আশাবাদী বাংলাদেশের মেয়েরামেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে ইদানীং দারুণ সাফল্য বাংলাদেশের। তবে জাতীয় দলকে ব্যর্থই বলতে হবে। এ মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক বাছাই পর্বে তিন ম্যাচের দুটিতে হেরেছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে অন্যটি। সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে আগামী মার্চে সাফ ফুটবলে সাফল্য পেতে চায় লাল-সবুজ দল।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সাফ ফুটবলের পঞ্চম আসরে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশই অংশ নেবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

দুই বছর আগে গত আসরের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ, শিলিগুড়িতে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে যায় ৩-১ গোলে। সেই দুঃখ পেছনে ফেলে কাঠমান্ডুতে ভালো খেলতে আশাবাদী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘শিলিগুড়িতে আমাদের দল ভালো খেলেছিল। কিন্তু ভারতের দলটা অনেক অভিজ্ঞ ছিল। তাদের সঙ্গে মেয়েরা পেরে ওঠেনি। তবে এবার আমরা সাধ্যমতো লড়াই করবো।’

জাতীয় পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান অবশ্য কমেনি, বরং বেড়েছে। অলিম্পিক বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে সাবিনা-মৌসুমী-মারিয়াদের দল। ছোটন অবশ্য ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বরকে স্রেফ একটা ‘খারাপ’ দিন বলে মনে করছেন, ‘দিনটা খুব খারাপ গেছে আমাদের। তবে আমি বলে দিতে পারি, আগামীতে এমন বাজে ফল আর হবে না। খারাপ সময় তো আর সব সময় আসে না।’

কাঠমান্ডুর টুর্নামেন্ট নিয়ে কোচের ভাবনা, ‘গ্রুপে আমাদের তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। গ্রুপ সেরা হতে পারলে সেমিফাইনালে অন্য গ্রুপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ভারতকে এড়াতে পারবো। আর তাহলে ফাইনালে খেলা কিছুটা সহজ হবে। আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি, মেয়েরা একটানা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলছে। আশা করি, নেপাল থেকে সাফল্য নিয়ে ফিরতে পারবো।’