টানা ড্র করে শেষ আটে শেখ রাসেল

শেখ জামালের আক্রমণ সাফল্যের সঙ্গে রুখে দিলো শেখ রাসেলের রক্ষণভাগজিতলেই নকআউট পর্বে, এই সমীকরণ সামনে রেখে শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু কেউ জেতেনি, গোলও হয়নি। আর গোলশূন্য এই ড্রয়ে কপাল খুলেছে শেখ রাসেলের। টানা দুটি ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে তারা।

গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে শেখ রাসেল। তাদের গ্রুপ ‘ডি’ এর চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের।

মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল শেখ জামাল। অথচ জেতার মতোই খেলেছিল তারা। মুহুর্মুহু আক্রমণে শেখ রাসেলের রক্ষণে ত্রাস ছড়ায় তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা ও দুর্ভাগ্য তাদের উচ্ছ্বাসে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

শেখ জামালের প্রথম সুযোগ আসে ১৯ মিনিটে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো পেরেজের বাড়িয়ে দেওয়া বলে মিডফিল্ডার দিদারুল আলম পা ছোঁয়াতে পারেননি। ২৭ মিনিটে বক্সের ভেতরেও বল পেয়ে পেরেজ লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। বিরতির তিন মিনিট আগে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের শট লাগে বারে।

দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল শেখ জামালের আধিপত্য। কিন্তু দেখা পায়নি জালের। প্রতিপক্ষের আক্রমণে তটস্থ থাকা শেখ রাসেল প্রথম সুযোগ পায় ৫৮ মিনিটে। নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওদোইনের দুর্বল শট গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা গ্রিপে নেন।

শেষ দিকে আরও দুটি সুযোগ পায় শেখ জামাল। ৭৮ মিনিটে পেরেজের শট বারের পাশ দিয়ে যায়। সলোমন কিংয়ের ফ্রি কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় পরের মিনিটে।

এত সুযোগ পেয়েও গোল না পাওয়ার আক্ষেপ লুকাননি শেখ জামালের কোচ যোশেফ আফুসি, ‘আমরা গোল করার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু গোল করতে পারিনি। সবার বাজে দিন যায়, আমাদেরও তাই হলো।’

কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরে খুশি শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। কিন্তু বসুন্ধরার পর শেখ জামালের সঙ্গেও গোলশূন্য ড্র ভাবাচ্ছে তাকে, ‘ড্র করে আমাদের নকআউটে যেতে হলো। আমাদের সমস্যা হলো ফরোয়ার্ডরা গোল পাচ্ছে না। নকআউটে কিন্তু গোল পেতেই হবে। নয়তো সেমিফাইনালে ওঠা কঠিন হয়ে যাবে।’