‘মেসি-রোনালদো পর্যায়ের খেলোয়াড় নেইমার’

neymar-lionel-messi-and-cristiano-ronaldoলিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ফুটবল বিশ্বে উচ্চারিত হয় নেইমারের নাম। যদিও ব্যক্তিগত অর্জনের খাতায় তেমন কিছু যোগ করা হয়নি তার। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকোর তাতে আগ্রহ সামান্যই। পারফরম্যান্সের বিচারে সময়ের সেরা দুই খেলোয়াড়ের পাশেই নেইমারকে রাখলেন তিনি।

বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ে নেইমার যোগ দিয়েছেন রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে। ইউরোপিয়ান মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, বার্সেলোনায় মেসির ছায়া থেকে বের হতেই প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। উদ্দেশ্য, বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জেতার। মেসির সঙ্গে একই দলে খেললে ব্যালন ডি’অর জেতা সম্ভব হবে না, এই আশঙ্কা থেকেই নাকি ন্যু ক্যাম্প ছেড়েছন নেইমার।

যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা পিএসজি তারকার জন্য চরম হতাশার। কারণ ফ্রান্সের প্রথম মৌসুমটা তার শেষ হয়ে যায় চোটে, অর্ধেক সময় মাঠেই থাকা হয়নি। এরপর ব্রাজিলের জার্সিতে বিশ্বকাপে নেমে পড়তে হয় কঠিন সমালোচনার মুখে। তাই ব্যালন ডি’অরের সেরা দশেও থাকা হয়নি তার। মেসি ও রোনালদোর সাম্রাজ্য ভেঙে এবারের ‘সোনার বল’ হাতে তুলেছেন লুকা মদরিচ।

বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি নেইমারের পাওয়া না হলেও তাকে মেসি-রোনালদোর কাতারেই রাখছেন জিকো। সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘প্রত্যেক গ্রেট খেলোয়াড়ই জয়ের পথে অনেক বেশি অসাধারণ থাকে, আবার হারে চাপে পড়ে যায়। তবে নেইমার ব্যতিক্রম খেলোয়াড়। ওর মতো প্রতিভা বিশ্ব ফুটবলে হাতে গোনা কয়েকজনের আছে। আমি ওকে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও মেসির পর্যায়ে রাখব।’

জাতীয় দলে নেইমারের চাপ নিয়েও কথা বলেছেন জিকো। ব্রাজিলের ‘১০ নম্বর’ জার্সির ভার বয়ে চলাটা যে কোনও খেলোয়াড়ের জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জের বলে মনে করেন তিনি। জিকোর বক্তব্য, ‘এটা আসলে শুধু ব্রাজিল দলের জার্সি নয়, এটা পেলের জার্সি। ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়ের জার্সি। এটাই আসলে সমস্যা। চাপটা হলো, প্রত্যেকেই চিন্তা করে এই জার্সি যে পরবে, সেই পেলের মতো খেলবে।’ গোল ডটকম