এবার শিরোপা জিততে মরিয়া শেখ জামাল

এ মাসেই শুরু হওয়ার কথা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। ১৩ দলের এবারের প্রতিযোগিতায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। লিগ শুরুর আগে দলগুলোর প্রস্তুতি কেমন, কী তাদের প্রত্যাশা, আর তা পূরণে লক্ষ্যই বা কী- তা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে গতবারের রানার্স-আপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে নিয়ে-

111পেশাদার ফুটবল লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অভিষেক ২০১০-১১ মৌসুমে। আর শুরুতেই সবাইকে চমকে দিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে টানা দুবার লিগের ট্রফি উঠেছিল তাদের ঘরে। তিনটি লিগ শিরোপার সঙ্গে তিনটি ফেডারেশন কাপ জয়ের যোগফলে শেখ জামাল এখন ঢাকার ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি।

দেশের বাইরেও সাফল্য কম নেই। ২০১১ সালে নেপালের পোখরা কাপ, ২০১৪ সালে ভুটানের কিংস কাপের শিরোপা জয়ের পর একই বছর ভারতের ঐতিহ্যবাহী আইএফএ  শিল্ডে রানার্স-আপ হয়েছিল শেখ জামাল। তবে গত দুই মৌসুমে শিরোপার সৌরভ পায়নি ধানমন্ডির দলটি। গতবারের লিগে ঢাকা আবাহনীর পেছনে থেকে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল।

এবার শিরোপা জিততে মরিয়া শেখ জামাল। ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন চুন্নু বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, গতবার রানার্স-আপ হয়েছিলাম। আমাদের ক্লাবে এক সময় জোয়ার ছিল। এখন কিছুটা ভাটা চলছে। তবে আবার জোয়ার বইতে সময় লাগবে না। কারণ এবার আমরা ভালো দল গড়েছি।’

এ মৌসুমে প্রথম দুই টুর্নামেন্টে অবশ্য সাফল্য পায়নি শেখ জামাল। ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ব্যর্থতা ভুলে দলের নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসি তাকিয়ে লিগের দিকে, ‘আমাদের লক্ষ্য লিগের শিরোপা। মৌসুমের প্রথম দুটি টুর্নামেন্টে সাফল্য পাইনি। তাই লিগে ভালো খেলতে চাই। সাফল্য পেতে দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি অন্য দলগুলোকে নিয়ে তেমন চিন্তা করছি না। জানি অন্যরা ভালো দল। তবে মাঠের লড়াই-ই আসল কথা। আমাদের সাফল্য নির্ভর করছে নিজেদের ওপর।’

শেখ জামালের মিডফিল্ডার জাহেদ পারভেজ এবার সাফল্য পেতে আশাবাদী, ‘টিম হিসেবে খেলতে পারলে শিরোপা জিততে পারবো আমরা। গতবার কাছাকাছি গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এবার আগের মতো ভুল করতে চাই না। শুরু থেকে টিম গেম খেলে ম্যাচ বাই ম্যাচ জিততে চাই। আমাদের দলের সেই সামর্থ্য আছে।’

সাবেক চ্যাম্পিয়নদের দলে এবার নবাগত খেলোয়াড়দের ভিড়, ধানমন্ডির ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন ১৬ জন। নবাগতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি ও ডিফেন্ডার শওকত রাসেল।

চার বিদেশির মধ্যে শুধু সলোমন কিং গতবার খেলেছিলেন। ১৫টি গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড। নতুন তিন বিদেশিই খেলেন ফরোয়ার্ড পজিশনে। তারা হলেন আর্জেন্টিনার লুসিয়ানো ইমানুয়েল, কিরগিজস্তানের ডেভিড ব্রুস ও গাম্বিয়ার সেইনি বোজাং।

স্থানীয় খেলোয়াড়: অসীম কুমার, রফিকুর রহমান মামুন, মনজুর রহমান মানিক, শওকত রাসেল, সাইদুল হক, মোজাম্মেল হোসেন নীরা, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, নুরুল আবসার, মাজহারুল ইসলাম সৌরভ, ইমরান হোসেন রুবেল, দিদারুল আলম, ফয়সাল মাহমুদ, আলী হোসেন, ওমর ফারুক বাবু, মনির হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাকির হোসেন জিকু, সামিউল ইসলাম মাসুম, শ্যামল বেপারী, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সুজন হোসেন, আরিফুল ইসলাম, শ্যামল মিয়া, আশিক আহমেদ, শাকিল হোসেন, মোহাম্মদ নাইম, নাইমউদ্দিন নয়ন, শফিকুল ইসলাম বিপুল, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাকলায়েন আহমেদ ও সাদিকুজ্জামান মুন্না।

বিদেশি খেলোয়াড়: সলোমন কিং, লুসিয়ানো ইমানুয়েল, ডেভিড ব্রুস ও সেইনি ব্রুজন।