আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে চট্টগ্রাম আবাহনী?

এ মাসেই শুরু হওয়ার কথা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। ১৩ দলের এবারের প্রতিযোগিতায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। লিগ শুরুর আগে দলগুলোর প্রস্তুতি কেমন, কী তাদের প্রত্যাশা, আর তা পূরণে লক্ষ্যই বা কী- তা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে গতবারের তৃতীয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে নিয়ে-

ctg abahaniপেশাদার ফুটবল লিগের শুরু থেকে খেললেও আজ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। মাঝে দুই মৌসুম তো অবনমন হয়ে লিগের দ্বিতীয় স্তরে (চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) খেলেছিল।

চট্টগ্রাম আবাহনীর ‘বড়’ দল হয়ে ওঠা ২০১৫ সালে। সে বছর প্রিমিয়ার লিগে রানার্স-আপ হওয়ার পর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা জিতেছিল তারা। গত মৌসুমে লিগে তৃতীয় হওয়া দলে এবার এক ঝাঁক নতুন খেলোয়াড়। গতবারের মাত্র চার জনকে ধরে রেখেছে বন্দরনগরীর দলটি। নতুনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোলকিপার রাসেল মাহমুদ লিটন, ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার ও অরুপ কুমার বৈদ্য এবং ফরোয়ার্ড আব্দুল বাতেন মজুমদার কোমল।

এবারের দলে বিশাল পরিবর্তন, তাই কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু তেমন আশাবাদী নন। বাস্তবতা মেনে তার উপলব্ধি, ‘গতবার যারা ছিল তাদের অনেকেই এবারের দলে নেই। আমি লিগে শিরোপার স্বপ্ন দেখছি না। ওপরের দিকে থাকতে পারলেই আমি খুশি।’  

মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। স্বাধীনতা কাপেও শেষ আটের বেশি এগোতে পারেনি। ব্যর্থতার জন্য আক্রমণভাগকে দায়ী করে মিন্টু বলেছেন ‘দলের স্থানীয় খেলোয়াড়রা গোল পাচ্ছে না। তারা নিয়মিত গোল করলে আমাদের ফল অনেক ভালো হতো। অনুশীলনে গোল স্কোরিংয়ের পেছনে বাড়তি পরিশ্রম করেও লাভ হচ্ছে না।’

অধিনায়ক মোনায়েম খান রাজুও শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী নন। তার কথা, ‘লিগের শুরুটা ভালো করতে হবে। তাহলে ওপরের দিকে থাকতে পারবো। তবে শিরোপা জিততে পারবো কিনা জানি না। কারণ এবার বেশ কয়েকটি দল খুব শক্তিশালী। সাফল্য পেতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

জাতীয় দলের সাবেক মিডফিল্ডার আরমান আজিজ এখন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার। তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারলে আমরা ভালো করবো। আশা করি, লিগে ভালো করবে আমাদের দল।’

দলটির বিদেশি সংগ্রহ অবশ্য খারাপ নয়। নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মুফতা লাওয়ালকে ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। তার সঙ্গে আছেন তিন নবাগত—কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার দানিয়েল তাগো, নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড মাগালান আওয়ালা ও গাম্বিয়ার মিডফিল্ডার মোমদু বাহ।

স্থানীয় খেলোয়াড়: মোহাম্মদ নেহাল, আনিসুর রহমান সুইট, কেষ্ট কুমার, কাজী শরীফুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম রাসেল, নাইমুর রহমান, মোনায়েম খান রাজু, সোহেল মিয়া, আব্দুল বাতেন মজুমদার কোমল, কৌশিক বড়ুয়া, আশিক বড়ুয়া, মোস্তাজেব খান, আব্দুল মালেক, আরিফ খান জয়, মনসুর আমিন, ফাহিম মোর্শেদ, শাহেদ হোসেন, রাশেদুল ইসলাম শুভ, অরুপ কুমার বৈদ্য, রাসেল মাহমুদ লিটন, মনির আলম, শেখ খালেকুজ্জামান সবুজ, তৌহিদুজ্জামান লিটন, আজাদ হোসেন ও নসরুল ইসলাম হিরো।

বিদেশি খেলোয়াড়: মুফতা লাওয়াল, দানিয়েল তাগো, মোমদু বাহ ও মাগালান আওয়ালা।