এবার বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ জয়ের চ্যালেঞ্জ

সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্যের কথা জানাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনমেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে ইদানীং দারুণ সফল বাংলাদেশ। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের টিকিটও হাতে পেয়েছে লাল-সবুজ দল। সাফল্যের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে এবার নতুন চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জের নাম বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল।

আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ সহ ছয়টি দল অংশ নেবে। ‘এ’ গ্রুপে আছে মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস। ‘বি’ গ্রুপে সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও কিরগিজস্তানকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সেমিফাইনালে, তারপর ফাইনাল।

শনিবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আমরা প্রথমত গ্রুপের দুটি ম্যাচ জিততে চাই। এরপর সেমিফাইনালে জিতে ফাইনালে খেলতে চাই। টুর্নামেন্টকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশেই ট্রফি রেখে দিতে চাই আমরা। মেয়েরা ট্যাকটিক্যালি এবং টেকনিক্যালি কতটা উন্নতি করেছে সেটা আপনারা মাঠেই দেখতে পাবেন। আশা করি, মেয়েরা ঘরের মাঠে ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারবে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের মাসে নেপালে সাফ মহিলা ফুটবলে অবশ্য তেমন ভালো করতে পারেনি। তবে এই দুই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান ছোটন, ‘মিয়ানমার ও নেপালের অভিজ্ঞতা এই প্রতিযোগিতায় কাজে আসবে। মেয়েরা নিজেদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কাজ করছে। দেশের মাটিতে তারা আমাদের নিরাশ করবে না।’

অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমীও সাফল্য পেতে আশাবাদী, ‘প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের সেরাটা দেবো আমরা। আমাদের প্রস্তুতি ভালো, আর দলের সবাই ফিট। ভালো ফলের জন্য আমরা সবার দোয়া চাই।’

আর সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেছেন, ‘অনুশীলনে নেপাল-মিয়ানমার সফরের ভুলত্রুটি শোধরানোর চেষ্টা করেছি। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই।’