এভারটনের মাঠে বিধ্বস্ত ম্যানইউ

দলের এমন হারে হতাশায় ভেঙে পড়েন খেলোয়াড়রাচ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতে প্রিমিয়ার লিগে বড় হোঁচট খেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেরা চারে থেকে পরের মৌসুমে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশায় বিরাট ধাক্কা দিলো এভারটন। রবিবার প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ইউনাইটেড।

সাম্প্রতিক সময় খারাপ যাচ্ছে ম্যানইউর। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ৮ ম্যাচে এনিয়ে ষষ্ঠ হার দেখলো তারা। ৩৪ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেছে উলা গুনার সুলশারের দল। চতুর্থ স্থান থেকে দুই পয়েন্ট পেছনে তারা। শীর্ষ চারে থাকার মিশনে ম্যানসিটি ও চেলসির বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে এই দলকে।

রিচার্লিসন ও গিলফি সিগুর্দসনের গোলে প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এভারটন। বিরতির পর লুকাস দিগনে ও থিও ওয়ালকটের লক্ষ্যভেদে অতিথিদের উড়িয়ে দেয় তারা।

সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ভিক্টর লিন্ডেলোফকে এদিন রাইট ব্যাক হিসেবে খেলান সুলশার। এই সুযোগে বাঁ দিক দিয়ে এভারটন তৈরি করে বিপজ্জনক মুহূর্ত। দিগনের থ্রো থেকে বিভ্রান্তিতে ১৩ মিনিটে প্রথম গোল খায় ম্যানইউ। ফরাসি এই ডিফেন্ডারের বাড়ানো বল ফ্লিক করে রিচার্লিসনের কাছে পাঠান ডোমিনিক কালভার্ট লেভিন। ডিওগো ডালোটকে পাশ কাটিয়ে উঁচু শটে গোল করেন রিচার্লিসন।

প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে উঠছিল ম্যানইউ। এভারটন আক্রমণ চালাতে থাকে তাদের গোলপোস্টে। ২৮ মিনিটে ইউনাইটেডের কর্নার থেকে বল পায়ে নিয়েই ইদ্রিসা গুয়েই লম্বা পাস দেন সিগুর্দসনকে। তারপর এক দৌড়ে গোলপোস্টের ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে দাভিদ দে গেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি।

ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে বিরতির সময় দুটি বদল আনেন সুলশার। অ্যাশলে ইয়াং ও স্কট ম্যাকটোমিনেকে নামান ফিল জোন্স ও ফ্রেডের বদলে। কিন্তু ম্যাচ পাল্টাতে পারেননি তারা। বরং ৫৫ মিনিটে আরও একবার বল ঢোকে তাদের জালে। কর্নার কিক দে গেয়া বিপদমুক্ত করলেও বক্সের প্রান্ত থেকে রকেট গতির ভলিতে ৩-০ করেন দিগনে।

কিছুক্ষণ পর একটি কর্নার বাঁচিয়ে গোল হতে দেননি দে গেয়া। কিন্তু ম্যানইউ গোলরক্ষক আবারও হার মানেন ৬৩ মিনিটে। বদলি নামা ওয়ালকট করেন চতুর্থ গোলটি।