সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ এগিয়ে যায় একাদশ মিনিটে। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের থ্রু ধরে আমিরাতের গোলকিপারকে পরাস্ত করেন স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না (১-০)।
১৪ ও ১৭ মিনিটে পর পর দুটো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিক দল। প্রথমে মিসরাত জাহান মৌসুমীর পাস থেকে পোস্টে শট নিতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। এরপর স্বপ্নার শট প্রতিহত হয় গোলকিপারের শরীরে লেগে।
তবে ৩০ মিনিটে হতাশ করেননি কৃষ্ণা। মনিকা চাকমার কর্নারে হেড করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন তিনি (২-০)।
এরপর শুরু বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্প। ৪০ মিনিটে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহারের ক্রস থেকে মৌসুমীর প্লেসিং শট বাইরের জাল কাঁপিয়েছে। বিরতির ঠিক আগে আঁখির শট ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে আবার হতাশ করেছে লাল-সবুজ দলকে।
জয় দিয়ে শুরু করার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। বাংলাদেশ দলও প্রথম ম্যাচ জিতে খুশি। ব্যবধান আরও বড় না হলেও কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন হতাশ নন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়। লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় আমরা খুশি। জয়ের ব্যবধান বড় না হলেও আমি হতাশ নই। সামনের ম্যাচে আজকের সব ভুল সংশোধন করে মাঠে নামতে হবে মেয়েদের, আরও গোল করতে হবে।’
তবে কৃষ্ণা আরও গোল করতে না পেরে বেশ হতাশ, ‘বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্য ছিল আমাদের। কিন্তু দু গোলের বেশি পাইনি। তাই কিছুটা খারাপ লাগছে। অবশ্য প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে ভালোও লাগছে।’
আগামী বুধবার ‘বি’ গ্রুপের পরের ম্যাচে আমিরাত মুখোমুখি হবে কিরগিজস্তানের। আর শুক্রবার বাংলাদেশ খেলবে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপের তিনটি দল হলো মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস।
বাংলাদেশ: রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), নার্গিস খাতুন, মনিকা চাকমা, সানজিদা খাতুন (মার্জিয়া), মিসরাত জাহান মৌসুমী, সিরাত জাহান স্বপ্না (সাজেদা খাতুন), কৃষ্ণা রানী সরকার, মারিয়া মান্ডা (ইশরাত জাহান রত্না) ও আঁখি খাতুন।