আবাহনীতে খুশির জোয়ার

দারুণ ফ্রি-কিকে গোল করে আবাহনীর মাসিহ সাইগানির (১৯ নম্বর) উল্লাসরেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসব শুরু। আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস গ্যালারির সামনে গিয়ে সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাব দিলেন। এএফসি কাপে ভারতের চেন্নাইয়ান এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে লিগ ও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিষ্যদের প্রশংসা করে লেমস বলেছেন, ‘এটা আবাহনী ও বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অনেক বড় ম্যাচ ছিল। শুরুতে গোল খেলেও ছেলেরা ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে। এই কৃতিত্ব দলের সবার। সবাই ভালো খেলেছে বলেই আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি।’

ম্যাচের শুরুতে গোল খেয়ে অজস্র আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে পারেনি আবাহনী। তবে বিরতির পর তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ। আবাহনীর কোচ অবশ্য বিশ্বাস হারাননি দলের ওপর থেকে, ‘প্রথমার্ধে অনেক চেষ্টা করেও আমরা গোল পাইনি। তবে আমি হতোদ্যম হইনি। জানতাম গোল আসবেই। আবাহনী তিন-তিনটি গোল দিয়ে ম্যাচ জিতেছে। আমি তাই খুব খুশি। পরের দুই ম্যাচেও জিততে চাই। টুর্নামেন্টের পরবর্তী পর্বে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের।’

আবাহনীর জয়ের নায়ক অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে তার জোরালো শটেই জয়সূচক গোলের জন্ম। গোলটি চার মাস বয়সী ছেলেকে উৎসর্গ করে মামুনুল বলেছেন, ‘আমি আগেও এমন গোল করেছি। কিন্তু সেটা অনেকেই ভুলে গেছেন। গোলটা ছেলেকে উৎসর্গ করছি আমি।’