লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আনন্দ বাংলাদেশ ফুটবল দলের

দারুণ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ২০১৬ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে ভুটানের কাছে হেরে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ ছিল নির্বাসিত। র‌্যাংকিংয়েও নিচের দিকে নামতে থাকে তারা। পরে মাঠে ফিরলেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে দলকে। র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরা ৩৪ এ না থাকায় খেলতে হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের প্রাক বাছাই। সেখানেই লাওস বাধা উতরে এশিয়ার শীর্ষ ৪০ দলের একটি হয়ে বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ। লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আনন্দ প্রকাশ করলেন কোচ ও অধিনায়ক।

গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। অগণিত সুযোগ নষ্ট করার আক্ষেপ থাকা স্বাভাবিক। তবে এনিয়ে গত তিন ম্যাচে নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখাও তো ইতিবাচক। সেটাই মনে করিয়ে দিলেন জেমি। তাই এখন এই সাফল্য উদযাপন করতে চান তিনি, ‘আমরা শেষ তিন ম্যাচ প্রতিপক্ষকে গোল করতে দেইনি। কম্বোডিয়ার পর লাওসের বিপক্ষে প্রথম লেগ জিতেছি, ড্র করেছি।’

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি কোচ ও অধিনায়কম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গিয়েছি। এটাই এখন সত্যি। যদিও এই ম্যাচে গোল করতে পারেনি দল। তবে সুযোগ পেয়েছিল অনেক। ছেলেরা ভালো খেলেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আমরা এই জয়টা উদযাপন করবে।’

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে নির্বাসনে থাকার পর আবার ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। একে দারুণ অর্জন মানছেন ইংলিশ কোচ। লক্ষ্য পূরণ হওয়ার কথা জানালেন জেমি, ‘যদি আমরা আরও ভালো খেলার পরও হারতাম এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেতে ব্যর্থ হতাম, তাহলে কি কিছু হতো? ভালো খেলাটা হতো অর্থহীন। কিন্তু আমরা যেমন করে খেলেই হোক, সত্যটা হলো আমরা বাছাই পর্বে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতেই আমি খুশি।’

জেমির এই কথায় সুর মেলালেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশি এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আমরা হয়তো সুন্দর ফুটবল খেলতে পারিনি, কিন্তু বাছাই পর্বে তো গিয়েছি। সবসময় ভালো ফুটবল খেলা কঠিন। একই কৌশলে সবসময় খেলাও যায় না। যদি আমরা টিকিটাকা খেলতাম, কিন্তু বাছাই পর্বে উঠতে ব্যর্থ হতাম তাহলে কী হতো! বাছাই পর্বে ওঠার উৎসব কীভাবে করবো সেটা বলতে চাইছি না।’