প্যারাগুয়ের বিপক্ষে সতর্ক থাকতেই হচ্ছে ব্রাজিলকে

অনুশীলনে ব্রাজিল দলপঞ্চমবার কোপা আমেরিকার আয়োজন করেছে ব্রাজিল। আগের চারবারের অভিজ্ঞতা দারুণ, দেশের মাটিতে প্রত্যেকবার শিরোপা উৎসব করেছে তারা। তাহলে এবারও কি শেষ হাসি হাসবে ৮ বারের চ্যাম্পিয়নরা! এই পরিসংখ্যান নিশ্চয় এগিয়ে রাখছে ব্রাজিলকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন প্যারাগুয়ে, নিকট অতীত স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না তাদের।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময়) পোর্তো অ্যালেগ্রের গ্রেমিও অ্যারেনায় প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে। এই টুর্নামেন্টে প্যারাগুয়েই একমাত্র দল, যারা একটি ম্যাচও না জিতে শেষ আটে। তিন ম্যাচে দুটি ড্র ও একটি হারে সেরা তৃতীয় দলের একটি হয়ে নকআউট পর্বে এদুয়ার্দো বেরিজ্জোর দল।

অন্যদিকে বর্তমান সময়ের তারকা নেইমারকে ছাড়াই খেলছে ব্রাজিল। নেই উদীয়মান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্টের ৭টিই অর্জন করেছে তারা। বলিভিয়ার সঙ্গে টানটান উত্তেজনায় ম্যাচটি জিতেছিল ২০০৭ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়নরা। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে সুযোগ নষ্ট না করলে তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্য পেতো ব্রাজিল।

ব্রাজিল দলের অনুশীলনস্বাগতিক হিসেবে নিশ্চিত ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষও টুর্নামেন্টে পিছিয়ে বেশ বড় ব্যবধানে। ২০০৭ সাল থেকে ২৩ ম্যাচে মাত্র দুটি জিতেছে প্যারাগুয়ে। এই আসরে কাতারের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ২-২ এ ড্র করেছে, আর আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলেও ১-১ গোলের ড্র। এমন পারফরম্যান্স দিয়ে ব্রাজিলের চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়া সহজ কথা নয়।

কিন্তু অতীতে ফিরে তাকালে এগিয়ে রাখতে হবে প্যারাগুয়েকে। কোপা আমেরিকায় দুই দলের শেষ দেখায় দুইবারই জিতেছিল প্যারাগুয়ানরা। তাদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে, দুইবারই কোয়ার্টার ফাইনালে।

২০১১ সালে গ্রুপের তিন ম্যাচ ড্র করে শেষ আটের নির্ধারিত সময়ে ব্রাজিলকে গোলশূন্যতে রুখে দেয় তারা, এরপর পেনাল্টি শুটআউটে ২-০ গোলের জয়। চার বছর পর মহাদেশীয় মঞ্চে তাদের সবশেষ দেখা ২০১৫ সালে। ওইবারও গ্রুপে মাত্র এক জয় ও দুই ড্রয়ে শেষ আটে ব্রাজিলকে পেয়েছিল প্যারাগুয়ে, আবারও নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে সমতায় শেষ হলে পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে হেরে ছিটকে যায় সেলেসাওরা।

ব্রাজিলকে ঠেকাতে প্যারাগুয়ের অনুশীলনএবারও গত দুইবারের হতাশার পুনরাবৃত্তি হোক চায় না ব্রাজিল। এই লড়াইয়ে তিতে আস্থা রাখতে পারেন ফিলিপে কৌতিনিয়োর ওপর। বার্সেলোনায় সময় ভালো না কাটলেও তার জোড়া গোলেই জিতে শুরু করেছিল তারা। এছাড়া গ্যাব্রিয়েল জেসুস, এভারটন ও রবের্তো ফিরমিনোর আক্রমণভাগকে শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে হবে। পেরুর বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলের উৎসবই তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আগের দুই হারের হতাশা কাটিয়ে এক যুগের শিরোপা খরা কাটানোর পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে চায় ব্রাজিল।