বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল একাদশ

বিশ্বের সবচেয়ে দামি একাদশইউরোর ঝনঝনানিতে কাঁপছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দলবদলের বাজার। গত তিন বছরে পরিসংখ্যান বলছে, প্রত্যেক দল নেমেছে খেলোয়াড় কেনার নতুন রেকর্ড গড়ার প্রতিযোগিতায়। চলতি গ্রীষ্মের দলবদলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে ভিড়িয়েছে বিশ্বের সবেচেয়ে দামি ডিফেন্ডারকে। সব পজিশনে অর্থের অঙ্কের দিক বিবেচনায় নিয়ে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি একাদশ তৈরি করেছে।

যে একাদশে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জয়জয়কার। ছয়জন এসেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব থেকে। যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুজন, ম্যানচেস্টার সিটির দুজন, আর ‍একজন করে আছেন লিভারপুল ও চেলসি থেকে। বাকি পাঁচ খেলোয়াড়ের দুজন করে বার্সেলোনা ও প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের, আর একজন আছেন বায়ার্ন মিউনিখ থেকে।

কেপাকেপা, চেলসি (গোলরক্ষক)

এই স্প্যানিয়ার্ড বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক। ২০১৮ সালের আগস্টে অ্যাথলেতিক বিলবাও ছেড়ে ৮০ মিলিয়ন ইউরোতে চেলসিতে যোগ দিয়ে হন বিশ্বের দামি গোলরক্ষক। ভেঙে দেন ওই মৌসুমেই আলিসন বেকারকে দলে ভিড়িয়ে লিভারপুলের গড়া রেকর্ডকে। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের চেয়ে কেপার দাম ৫ মিলিয়ন ইউরো বেশি।

কাইল ওয়াকার, ম্যানসিটি (ডিফেন্ডার)

ইংলিশ রাইটব্যাক টটেনহাম থেকে ৫৬.৭ মিলিয়ন ইউরোতে নাম লেখান ম্যানসিটিতে। ২০১৭ সালে যখন দলবদল করেছিলেন, তখন তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডার। যদিও গত দুই মৌসুমে ইউরোর ঝনঝনানিতে এই তালিকার নিচে নেমে গেছেন তিনি।

ভার্গিল ফন ডাইকভার্গিল ফন ডাইক, লিভারপুল (ডিফেন্ডার)

হ্যারি ম্যাগুইয়ারের দলবদলের আগপর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের দামি ডিফেন্ডার। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সাউদাম্পটন থেকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে দলে নেয় লিভারপুল। গায়ে লেগে থাকা দামের ‘ট্যাগ’ তিনি প্রমাণ করেছেন ইতিমধ্যে।

হ্যারি ম্যাগুইয়ার, ম্যানইউ (ডিফেন্ডার)

ফন ডাইককে পেছনে ফেলে দিনকয়েক আগেই তিনি হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করে নজরে পড়া ম্যাগুইয়ারকে লিস্টার সিটি থেকে ৮৮ মিলিয়ন ইউরোতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে এসেছে ম্যানইউ। যাতে ডিফেন্ডারের দলবদলের নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই ইংলিশ।

লুকাস এর্নান্দেস, বায়ার্ন মিউনিখ (ডিফেন্ডার)

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে ৮০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লুকাসকে কিনেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফান্সের বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ পারফর্ম করা এই ডিফেন্ডার যেমন লেফটব্যাক হিসেবে খেলতে পারেন, তেমনি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবেও পারদর্শী।

রোদ্রিরোদ্রি, ম্যানসিটি (মিডফিল্ডার)

অ্যাতলেতিকো থেকে ৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে রোদ্রিকে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নিয়ে এসেছে ম্যানসিটি। কেপার পর তিনিই স্পেনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড়।

পল পগবা, ম্যানইউ (মিডফিল্ডার)

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৬ সালে পল পগবাকে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানইউ। ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন জুভেন্টাস থেকে। মিডফিল্ডার হিসেবে তার দামটা এখনও সর্বোচ্চ।

ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, বার্সেলোনা (মিডফিল্ডার)

২০১৮-১৯ মৌসুম স্বপ্নের মতো কেটেছে আয়াক্সের। সেই স্বপ্নের পথচলায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল ডি ইয়ংয়ের। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর ‍সঙ্গে ১১ মিলিয়ন ইউরোর আনুষঙ্গিক খরচে আয়াক্স থেকে ন্যু ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে বার্সেলোনা।

ফিলিপে কৌতিনিয়োফিলিপে কৌতিনিয়ো, বার্সেলোনা (ফরোয়ার্ড)

বার্সেলোনা তাদের আগের ক্লাব রেকর্ড ভেঙে ফিলিপে কৌতিনিয়োকে দলে আনে। লিভারপুল থেকে এই ব্রাজিলিয়ানকে আনতে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে আরও ৪০ মিলিয়ন ইউরোর আনুষঙ্গিক খরচের শর্ত আছে চুক্তিতে।

নেইমারনেইমার, পিএসজি (ফরোয়ার্ড)

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় তিনি। ২০১৭ সালে তার রিলিজ ক্লজের ২২২ মিলিয়ন ইউরো বার্সেলোনাকে পরিশোধ করে ফ্রান্সে নিয়ে যায় প্যারিস সেন্ত জার্মেই। তিনিই প্রথম খেলোয়াড় যার দাম ২০০ মিলিয়ন ইউরোর ঘর ছুঁয়েছে।

কাইলিয়ান এমবাপে, পিএসজি (ফরোয়ার্ড)

নেইমারকে কেনার বছরেই কাইলিয়ান এমবাপেকে দলে নেয় পিএসজি। মোনাকো থেকে ধারে নিলেও পরের মৌসুমে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে স্থায়ী চুক্তি করে ফরাসি ক্লাবটি। সবচেয়ে কম বসয়ী খেলোয়াড় হিসেবে তার দামটাই সর্বোচ্চ।

সবচেয়ে দামি একাদশ (৪-৩-৩): কেপা; লুকাস এর্নান্দেস, হ্যারি ম্যাগুইয়ার, ভার্গিল ফন ডাইক, কাইল ওয়াকার; ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, রোদ্রি, পল পগবা; নেইমার, কাইলিয়ান এমবাপে, ফিলিপে কৌতিনিয়ো।