গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে টটেনহাম হটস্পারকে ২-০ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠবার ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হয় লিভারপুল। আর আর্সেনালকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগ জেতে চেলসি। তাতেই নিশ্চিত হয় উয়েফা সুপার কাপে মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
ইউরোপের এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় নামার আগে দুই দলেরই শুরু হয়ে গেছে লিগ মৌসুম। ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে দুই দলের। লিভারপুল ৪-১ গোলে জিতেছে নরউইচ সিটির বিপক্ষে। আর ম্যানইউর কাছে ৪-০ গোলে হেরে গেছে চেলসি।
এই ম্যাচে নামার আগে দল সাজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। মিডফিল্ডার এন’গোলো কাঁতের সঙ্গে রুদিগারকে নিয়ে শঙ্কায় তিনি। এরই মধ্যে ইনজুরিতে বাদ পড়েছেন হাডসন-ওডোয়, লোফটাস চিক ও জেমস।
এরপরও আশা হারাচ্ছেন না ল্যাম্পার্ড। খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি, ‘আমি আশাবাদী কারণ খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস আছে। আর যোগ্য দল হিসেবেই আমরা এই ফাইনালে। লিভারপুলের সামর্থ্য সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। কিন্তু আমরা যদি সর্বোচ্চটা দিতে পারি তাহলে ম্যাচ জিততে পারি। এই ম্যাচের গুরত্ব আমরা বুঝতে পারছি।’
ক্লপ অবশ্য জিততে আত্মবিশ্বাসী, কারণ এই ইস্তানবুলেই ২০০৫ সালে এসি মিলানকে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিভারপুল। সেই সুখের মুহূর্ত আবারও তৈরি হবে বিশ্বাস লিভারপুল কোচের, ‘আমি জানি লিভারপুল ও প্রত্যেক সমর্থকের জন্য ইস্তানবুল কতটা বিশেষ। কেউ ২০০৫ সালের কথা ভুলে যাবে না, কিন্তু আমরা এক নই- আমরা ২০১৯-২০ মৌসুমের দল। অবশ্য অনেক ভালো একটা দল। ইস্তানবুল ফুটবলের জন্য দারুণ জায়গা। পরিবেশ চমৎকার। লিভারপুল সমর্থকদের একটা বড় গোষ্ঠী আছে এখানে। আমরা সতেজ আছি। আশা করি এই দলের জন্যও এই জায়গাকে আমরা বিশেষ করে তুলবো।’
এই ম্যাচ আরেকটি কারণে স্মরণীয় হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো ছেলেদের কোনও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ম্যাচ রেফারি থাকবেন মহিলা- স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট। ২৫ বছর বয়সী এই রেফারির সহকারী হিসেবেও থাকবেন দুজন মহিলা- ম্যানুয়েল নিকলসি ও মিচেল ও’নেইল।