প্রথমার্ধে একের পর এক কাউন্টার অ্যাটাকের সুফল পায় নাইজেরিয়া। ওসিমহেনসের ক্রস থেকে বল পান মোসেস সিমন, মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে বক্সের মধ্যে ঢোকা জো আরিবোকে বল পাঠান তিনি। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ৩৫ মিনিটে গোলমুখ খোলেন আরিবো।
এর আগে ১২ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল নেইমারকে হারিয়ে। হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথা নিয়ে তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন, বেঞ্চে তাকে বাঁ ঊরুতে বরফ দিতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের জন্য ছিটকে যেতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার।
পিএসজির এই স্ট্রাইকারের বদলে মাঠে ঢোকেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। বার্সেলোনা থেকে বায়ার্ন মিউনিখে ধারে যাওয়া এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ হয়নি।
৫৬ মিনিটে জেসুসকে দুর্দান্ত সেভ করেন উজোহ। এর ৪ মিনিট পর কাসেমিরোর চমৎকার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ক্রসবারে আঘাত করে। খেলা শেষ হওয়ার ৪ মিনিট আগে কৌতিনিয়োর প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দিয়ে নাইজেরিয়াকে বাঁচান ডিফেন্ডার আজাইয়ি।
এনিয়ে তিন মাসে চার ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা পেলো না ব্রাজিল। পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিন ড্র ও একটি হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে তারা। কোপা আমেরিকা জেতার পর কলম্বিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে, এরপর পেরুর কাছে হার ১-০ গোলে। সেনেগালের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তারা।