ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের ব্যবধান বিশাল। ভারত ১০৪ আর বাংলাদেশ ১৮৭ নম্বরে। তবে র্যাংকিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেমি ডে’র শিষ্যরা লড়াই করেছেন বুক চিতিয়ে। শুধু লড়াই নয়, ভারতের ফরোয়ার্ডদের বোতলবন্দি করে রেখেছেন সাফল্যের সঙ্গে। প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করলে কলকাতার মাটিতে বিজয় নিশানই উড়তো।
বছর দেড়েক আগে ইংলিশ কোচ জেমি ডে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাফল্যের পথে যাত্রা বাংলাদেশের। গত বছর এশিয়ান গেমসে কাতারের মতো দলকে হারিয়ে নক আউট পর্বে উত্তরণ নিঃসন্দেহে বিশাল সাফল্য। এশিয়াড ফুটবল অবশ্য ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সীদের লড়াই। তবে জাতীয় দলও ভুটান-ট্র্যাজেডি পেছনে ফেলে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বছর লাওস-ভুটান-কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় আর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কাতার-আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে হার সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে।
আজ অবশ্য জয় প্রাপ্য ছিল। ম্যাচের শুরুতে বক্সের মধ্যে ইব্রাহিমকে ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। দ্বিতীয়ার্ধে ইব্রাহিমেরই শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। বিরতির মিনিট তিনেক আগে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিকে সাদউদ্দিনের দুর্দান্ত হেডে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংয়ের বীরত্বে লজ্জায় পড়তে হয়নি ভারতকে।
ম্যাচের আগে সুস্পষ্ট ফেভারিট ছিল ভারত। আগের ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের মাটিতে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের হারাতে পারেনি। বল পজেশনে ভারত এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েছে অনেক বেশি।
কলকাতার মাটিতে একটুর জন্য জয় ধরা দেয়নি। তবে এই ড্রয়ের মূল্য অনেক। আজকের পারফরম্যান্স আগামীতে ফুটবলারদের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা দেবে অবশ্যই।